কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবজাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ, ছাত্রদলের কর্মী শহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আকাশ হোসেন, যুবদল কর্মী ইমরান হোসেন, জুবায়ের হোসেন ও শাহিন আহমেদ
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে জামায়াত এবং বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা করেন মিরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আবু সাইদ। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে এটিকে গায়েবি ও হয়রানিমূলক মামলা বলে অভিযোগ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ খবর পায় ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া স্কুলের বারান্দায় ৩০-৩৫ জন জামায়াত এবং বিএনপির নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে লিংকন, আওলাদ, সেন্টু এবং গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বোমার মতো দেখতে লাল কালো টেপ জড়ানো ৪টি বস্তু, লম্বা বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরো জব্দ করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন মাঠে নামছে, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের অপরাধ করেনি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর মিরপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলার আসামি বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন