বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর থেকেই ওই এলাকায় উপনির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করতে চান আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। গতকাল রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া আশরাফুল আলম বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা হয়েছে।
আমি আবার নির্বাচন করতে যাচ্ছি। যদি আমাকে লাঙল প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করব। আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেব। ’আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও লাঙল প্রতীকের দাবিদার হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া, রওশন এরশাদপন্থী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক আবদুস সালাম বাবু।
চারজনের মধ্যে হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেও সিরিয়ালে দুই নম্বরে ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেও যাচাই-বাছাইয়ে দুই দফায় মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান। ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মাঝেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ প্রতীকে) হিসেবে অংশ নেন হিরো আলম। তবে হেরে যান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয়েছিল উল্লেখ করে এই আসনে উপনির্বাচন হলে আবারও প্রার্থী থাকবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। এবারও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক চেয়ে দলের মনোনয়ন কিনবেন বলে জানিয়ে বলেন, দলটির প্রদান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন