শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অসুস্থ্য মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে সরকার

কারাবন্দি বিএনপির মহাসচিবের বাসায় রাজনৈতিক দলের নেতারা -গণতন্ত্র মঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

বর্তমান সরকারের কোন মানবীয় বোধ নেই। তাদের শঠতা, প্রতারণা ও নিষ্ঠুরতা দেশকে ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এদেশে একজন সব্যসাচী নেতা। তার নম্রতা, ভদ্রতা, কথাবর্তা সব মিলিয়ে তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন। তার মতো এমন একজন ডিসেন্সি নেতাকে যে ভাবে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তা অমানবিক ও নেক্কার জনক। শুধু তাই নয় গ্রেফতারের পর এই অসুস্থ্য মানুষটাকে যে ভাবে মেঝেতে রাখা হয়েছে তা অত্যন্ত অমানবিক। মির্জা ফখরুলের মতো মির্জা আব্বাসের সাথেও একই আচরণ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিয়ে পদত্যাগ করুন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালানোরও পথ পাবেন না। কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্যদলের নেতারা এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিবের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তার উত্তরার বাসায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত দু:খ নিয়ে এখানে এসেছি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সময়ে এদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার আচার আচরণ, উচ্চারণ সব মিলিয়ে তিনি সবার প্রিয়জন। অত্যন্ত নম্র-ভদ্র এবং মিষ্টভাষী মানুষ হিসাবে রাজনীতিতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এরকম একজন শীর্ষ নেতার সাথে সরকার যে আচরণ করেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। মধ্যরাতে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ তার বাসায় যে ভাবে প্রবেশ করেছে তা অমানবিক। তার মত একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার সাথে যদি এমর আচরণ করা হয় তা সাধারণ মানুষের সাথে কেমন আচরণ হয় তা সহজেই অনুমেয়।

মান্না বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত অবলিলায় মিথ্যা বলে। মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যাওয়ার পর বলা হয়েছে তার সাথে আলোচনার জন্য আনা হয়েছে। অথচ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সরকার প্রধান নির্বাচন নিয়ে যে ভাবে মিথ্যা বলেন তা শুনে লজ্জা লাগে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সরকার হাইজ্যাক করে নিয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেন জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে। এমন মিথ্যা তিনি অহরহ বলে যাচ্ছেন।
মান্না বলেন, কারাগারে বন্দি রাখার মতো এখন ঠাই নেই। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি আছে কারাগারে। গত কয়েকদিনে বিরোধীদলের ১২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অত্যন্ত অসুস্থ্য। তার পিঠে ব্যথ্যা। মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অথচ তার সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। আমরা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ সকল বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্নয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্নয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদ যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান। একই সময়ে সহমর্মিতা জানাতে আসেন- জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টিরচেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দল চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন