শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোটা গারো পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে বন্যহাতি

তান্ডবে লন্ডভন্ড অনেক বাড়িঘর গাছপালা ও ফসল

ঝিনাইগাতী(শেরপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:৩৬ পিএম

গোটা গারো পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে বন্য হাতির পাল। ভেঙে লন্ডভন্ড করছে বাড়ীঘর ফসল ও গাছপালা। হাতির পাল এখন ধোবাউড়ায়। সেখানেও বন্যহাতির তান্ডবে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ভারত সীমান্তবর্তী গোটা গরো পাহাড়েই বন্য হাতি এখন মূর্তিমান আতংক। ধোবাউড়া দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের গ্রামের বাসীন্দারা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মোট কথা সমগ্র গারো পাহাড়ে বন্যহাতির পাল সাধারণ মানুষের জীবন মরণ সমস্যা।

জানা যায়, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইনিয়নের গোবরচনা গ্রামে সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে এক টিলার উপর হাতির পাল দিনে অবস্থান করে। লোকজন নিচে পটকা ফাটিয়ে সীমান্তের ওপারে তাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা টিলার ওপর অবস্থান করে হাতির পাল। রাতে লোকালয়ে নেমে এসে চালায় তান্ডব। ইতোমধ্যেই উপজাতীয় অধ্যুষিত গোবরচনা গ্রামের ১৫-২০টি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাতির পাল। স্থানীয় অভ্র চিরান জানান, হাতির পাল রাতে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসে আশপাশের ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার করছে। বাড়ির কলাগাছ, নাড়কেলগাছ সব শেষ করে দিয়েছে। গোলার ধানও খেয়ে শেষ করেছে। কিছুই রাখেনি।

স্থানীয় শাহজাহান জানান, গ্রামের মানুষ জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে দূরে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য ও পানীয়’র সঙ্কটে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয়রা জানান, ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার আগ পর্যন্ত এ ধরনের সমস্যা হয়নি। বেড়ার কারণে হাতির পাল ফিরে যেতে পারছে না ভারতে। সেখানকার বিজিবিকে বলার পরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হাতির পাল বিজয়পুর সীমান্তের সোমেশ্বরী নদী হয়ে এখানে এসেছে। পথে দুর্গাপুর উপজেলার আড়াপাড়ায় হাতির আক্রমণে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী মোট ৫০-৬০টি হাতি তান্ডব চালাচ্ছে। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন সরকার বলেন, ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকে হাতির পাল দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে তান্ডব চালাচ্ছে। নয়াপাড়া ও দীঘলবাগ গ্রামে ১১টি বাড়ি ধ্বংস করার পর গোবরচনা গ্রামে ১৪টি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। ক্ষেতের ফসল, গাছপালা কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। এখনো হাতিগুলো আছে। হাজার হাজার মানুষ হাতি দেখতে ভিড় করছে। উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও বন বিভাগের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন