১৬টি ভারতীয় সংস্থার ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। তারমধ্যে যোগগুরু রামদেবের সংস্থা দিব্য ফার্মেসিও আছে। নেপালের প্রশাসন জানিয়েছে, এই ১৬টি সংস্থার জিনিস ডাব্লিউএইচও-র বেঁধে দেওয়া মান রক্ষা করতে পারেনি। সে কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর নেপালের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটি নোটিস জারি করে। সেখানে সমস্ত ওষুধের এজেন্ট সংস্থাগুলোকে বলা হয়, এই ১৬টি সংস্থার জিনিস বাজার থেকে তুলে নিতে।
নেপালের প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্বের বহু দেশ থেকেই তারা ওষুধ আমদানি করে। ভারতের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসাসংক্রান্ত জিনিস নেওয়া হয়।
সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞ দল ভারতের সংস্থাগুলোতে গিয়েছিল তাদের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য। ডাব্লিউএইচও-র নিয়ম মেনে সংস্থাগুলি ওষুধ তৈরি করছে কি না, তা যাচাই করাই উদ্দেশ্য ছিল। অভিযোগ, ১৬টি সংস্থা সেই সেই গুণমান বজায় রাখতে পারছে না। সে কারণেই তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতে তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রামদেবের সংস্থার জিনিস বিক্রি হয়। দিব্য ফার্মেসির পতঞ্জলির জিনিস খুবই জনপ্রিয়। নেপালেও পতঞ্জলির জিনিস রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছিল। এবার তা নিষিদ্ধ করা হলো। দিব্য ফার্মেসি ছাড়াও ১৫টি সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যাপট্যাব বায়োটেক এবং ক্যাডিলা হেলথকেয়ার।
সম্প্রতি ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলির গুণমান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে নেপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন