ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে খাদে পড়ে যায়। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর বাসের কন্ট্রাক্টর আব্দুল বাতেন (৪৫) ও মুক্তা আক্তার (২৫) নামের এক নারী পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বালিথা এলাকায় একেএইস কারখানার সামনে একটি ডোবা থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে যাত্রীসেবা নামের ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে খাদে পরে উল্টে যায়।
নিহত মুক্তা আক্তার সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং নিহত মোঃ আব্দুল বাতেন মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানা এলাকায়। তিনি ওই বাসের কন্ট্রাক্টর ছিলেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে যাত্রীসেবা নামের একটি বাস ধামরাই বাড়বাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে নয়ারহাট বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে মহাসড়কের পাশে একেএইচ কারখানার সামনে একটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। পরে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই রেকার দিয়ে বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও খাদে পানি থাকায় এবং রাত হওয়াতে বাসটি উদ্ধারে ব্যার্থ হন। পরে (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চেষ্টার পর সন্ধ্যার দিকে বাসটি খাদ থেকে উঠাতে সক্ষম হন ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা। রেকার দিয়ে বাসটি উঠানোর সময় বাসের সাথে মুক্তা আক্তারের মরদেহ ভেসে উঠে। পরে ডোবায় ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে বাসের কন্ট্রাক্টর আব্দুল বাতেনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এবিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, এই ঘটনায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। স্বজনরা আসলে তাদের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন