বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই, তাদের (বিএনপি) মুখে আসলে এতো বড় বড় আওয়াজ, এতো বড় বড় বুলি মানায় না। বিএনপির আগে ছিল চার দলীয় জোট, পরে শুনলাম ২০ দলীয় জোট, তারপর শুনলাম জোট ভেঙ্গে দিয়ে ছোট ছোট জোট হবে, আজকে জানলাম ৩০ দলীয় জোট করছে। বিএনপি শুধু ৩০ নয়, যদি ১৩০ দলীয় জোট করে তাহলেও আওয়ামী লীগের কিছুই করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের শিকড় এতো গভীরে আছে, এটি উপড়ানোর ক্ষমতা কারো নেই। জামাত-বিএনপি‘র সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ির চৌরাস্তায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে আন্দোলনের দল। ২০০৪ সালে বীভৎস গ্রেনেড হামলার পরেও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাত্র এক বছরের মধ্যেই। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল, যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ওয়ান ইলেভেনের সময় চক্রান্ত করে রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটা মোকাবেলা করে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে যখন বিএনপি অংশগ্রহণ না করে জ্বালাও-পোড়াও করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে চেয়েছিল, নির্বাচন ভঙ্গ করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ তা হতে দেয়নি। নির্বাচন হয়েছিল, সরকার গঠিত হয়েছিল, বিশ্বের বড় দেশসহ সবাই স্বীকৃতি দিয়েছিল, বিএনপি কিছু করতে পারেনি।
বিএনপির সাত বছর আগের ঘোষিত অবরোধ আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আজও সেই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেনি। তাদের ভাষ্যমতে, সেই কর্মসূচি আজও চলছে। তাহলে বলতে হয়, তারা আন্দোলন করে আমাদের উন্নয়ন থামাতে পারছে না, শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রযাত্রাকে আটকাতে পারছে না। মানুষের আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। মানুষ শেখ হাসিনার হাত ধরে এদেশকে আরও উপরে নিয়ে যেতে চায়।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কুলাঙ্গার তারেক জিয়া লন্ডনে বসে এমন সব অপকর্ম করে, যা বলতে আমাদের লজ্জা হয়। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হয়ে জুয়াড়ীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। সে জুয়া খেলে টাকা আয় করে। তার টাকা এতো দরকার, হাওয়া ভবন তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সকল ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েও তার টাকার লোভ যায়নি। তার দলের মনোনয়ন নিতে হলে এখনো টাকা লাগে, টাকা না দিলে মনোনয়ন পাওয়া যায় না। সেই তারেক জিয়া যদি সাহস থেকে ঢাকায় আসো, বিমানবন্দরে নামো, গ্রেপ্তার হও, আন্দোলন কেমন হয়, আমরাও দেখি। তখন যদি তোমার দল কারাগার থেকে বের করতে পারে, তখন দেখা যাবে বিএনপির কতটা ক্ষমতা। আমাদের নেত্রী তো ভয় করেননি। দেশে ফিরে এসেছেন, মামলা ফেস করেছেন। দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাবেক এমপি সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারওয়ার কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগসহ অনেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন