আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এই বছরটি উদ্বোধনের বছর। একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলও উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হবে এই বছরেই। প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, যার সুফল মানুষ পাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে, তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা‘র সরকার যেটি বলে, সেটি বাস্তবায়ন করেন।
রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর সকল উন্নয়নের অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়নে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীকে সাজানো হচ্ছে। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। নগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বিকেএসপি সহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। এভাবেই রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সভা-সমাবেশ ও প্রচার মিছিল করা হয়েছে। সব জায়গায় আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ হবে, মানুষের কাছে জনসভাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। উন্নয়নের ছোঁয়ায় রাজশাহীও বদলে গেছে। প্রশস্ত সড়ক, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, আলোকায়নসহ সর্বক্ষেত্রে রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়ন হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এই নগরীর সুনাম দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্বর্তস্ফুঃভাবে উপস্থিত হয়ে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে-সেটিই আমরা দেখতে পাচ্ছি।
সভামঞ্চে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রোজেটি নাজনীন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুনবী নবী অনু। সভায় বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জনসভায় সফল করতে ও রাজশাহীর উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন