নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথম দিন রাজধানী ঢাকায় খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে আটা ও ময়দার দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ তথ্য জানিয়েছে। টিসিবি জানিয়েছে, বছরের প্রথম দিন রোববার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে বোতলের সয়াবিন তেল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, দেশি হলুদ, জিরা, দারুচিনি, ধনে ও তেজপাতার দাম বেড়েছে।
বিপরীতে বছরের প্রথম দিন আটা ও ময়দার দাম কমার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে ফার্মের ডিম, দেশি আদা, দেশি রসুন, আলু, পাম অয়েল এবং চালের দাম কমেছে। রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য দিয়েছে টিসিবি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ খরা হয়েছে, ১ জানুয়ারি লুজ (খোলা) সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা।
অপরদিকে ১ জানুয়ারি খোলা আটার দাম কমেছে ৪ শতাংশ। এতে এক কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। খোলা ময়দার দাম ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৭২ টাকা। প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
বছরের প্রথম দিন দাম বাড়া-কমার পাশাপাশি এক সপ্তাহের ব্যবধানে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বা কমেছে সে তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে টিসিবির প্রতিবেদনে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর সরু এবং মোট চালের দাম কমেছে। এর মধ্যে সরু চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে এক কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫৮ থেকে ৭৮ টাকা। আর মোটা চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এতে এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৬ থেকে ৫৫ টাকা।
চালের পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় রয়েছে সুপার পাম অয়েল, আলু, দেশি রসুন ও আদা এবং ফার্মের ডিম। এর মধ্যে সুপার পাম অয়েলের দাম ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। এতে এক লিটার সুপার পাম অয়েল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪২ টাকা। আলুর দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এতে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ২২ টাকা, যা আগে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া দেশি রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। এতে এক কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। আর ফার্মের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, যা আগে ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহে তেজপাতার দাম ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। এতে এখন এক কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। ধনেপাতার দাম বেড়েছ ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে এক কেজি ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে জিরা ও দারুচিনিও। এর মধ্যে জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৫২০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৩০ থেকে ৫০০ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৮ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এছাড়া গত এক সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে দেশি হলুদ এবং বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল। টিসিবি জানিয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। এতে বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ থেকে ১৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৮ থেকে ১৮৭ টাকা। আর দেশি হলুদের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ থেকে ২৫০ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন