শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নবীগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:০৭ পিএম

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বকেয়া বেতন, রেশন, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণসহ ৫ দফা দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন চা শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার শ্রমিক। পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়Ñ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার নারী-পুরুষ চা শ্রমিক কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে দুটি বাগানে ম্যানেজার ছাড়াই চলছে কার্যক্রম। গত ৪ সাপ্তাহ ধরে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার শ্রমিকের মজুরী, রেশনের ১৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা, ২০১৯-২০২০ সালের শ্রমিকদের এরিয়া বোনাসের ২৩ লাখ ২২ হাজার টাকা, ২০২২ সালের এরিয়া বোনাসের ৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করছেনা মালিক পক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানায় চা-শ্রমিকরা। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধান। বাধ্য হয়ে গত (৩০ ডিসেম্বর) হতে কর্মবিরতি পালন করছে দুই বাগানের চা-শ্রমিকরা। কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে চা শ্রমিকরা। এ সময় তারা দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান তারা। এসময় আধা ঘন্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান- গত চার সাপ্তাহ ধরে চা-শ্রমিকদের বেতন-রেশন দিচ্ছেনা মালিক পক্ষ ফলে চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রুত বিষয়টি সমাধান না হলে বড় আকারে আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিক জিকে মাইনুদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে জানান- বাগানের এরআগে কখনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, ব্রোকাররা আমাদের টাকা না দেয়ার কারণে বিগত ২ সাপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা তবে আমরা তাদের রেশন দিয়ে যাচ্ছি, দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান করা হবে। তিনি বলেন- কাজ বন্ধ রাখার ফলে চা পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন- বাগানের মালিক পক্ষ চা-শ্রমিকদের বেতন, এরিয়া বোনাস না দেয়ার ফলে চা শ্রমিকরা কার্মবিরতী পালন করে আসছেন। আমারা এ বিষয়টি সমাধানের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। তিনি বলেন- দুটি চা বাগানে ২৭৫টি চা শ্রমিক পরিবারের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউএনও আরও জানান- ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিক পক্ষের কাছে সরকারের খাজনা বাবদ প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন