গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ টি কক্ষ ও আলমারির তালা ভেঙ্গে চুরির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ভিতরের গেইট, ৫ টি কক্ষ, আলমারির তালা ও বিভিন্ন ড্রয়ার ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছ করেন। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ও নৈশ প্রহরীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রাতে চোরের এত বড় কর্মযজ্ঞ ঘটানো সম্ভব নয় বলে বিষয়টিকে রহস্যজনক বলছেন এলাকাবাসি। তারা মনে করছেন সরসের ভিতরেই ভূত রয়েছে। এঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত কর্মচারীগণ কর্মস্থলে গিয়ে গেইট, আলমারি ও ড্রয়ার তছনছ করার বিষয়টি দেখতে পান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক, ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপার, পরিসংখ্যান বিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্সের কক্ষে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলমারি ও ড্রয়ারের কাগজপত্র তছনছ করেন চোর। এঘটনাটি গতকাল সারাদিন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ থাকার পরেও চোর কিভাবে চুরির চেষ্টা করেন তা ভাববার বিষয়। কক্ষে অনেক জিনিসপত্র থাকার পরও কোন কিছুই চুরি হয়নি বলে দাবী করছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা।
নৈশ প্রহরী সুজন সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবুল ফাত্তাহ বলেন, গেইট ও দরজার তালা ভেঙে চোর বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে আলমারি এবং ড্রয়ারের তালা ভেঙে কাগজপত্র এলোমেলো করেছে। কিন্তু চোর কোন কিছু চুরি করতে পারেনি। এঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন