শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

একদিনে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় ৪ লাশ উদ্ধার, জনমনে চাপা আতংক

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, রামু ও ঈদগাঁও থানা থেকে একই দিনে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে স্ব স্ব থানার পুলিশ। এদের মধ্যে টেকনাফের নাফনদীর তীর থেকে দুই রোহিঙ্গার মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রামুতে মিলেছে হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ। আর ঈদগাঁওতে নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, বুধবার বিকেলে নাফ নদীর হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকার তীরে ভাসমান দুটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। পুলিশ গিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহ দুটি তুলে আনে। মৃতদেহ দুইটি ফুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২-৩ দিন আগে হত্যার পর বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে মরদেহ দুটি।

খবর পেয়ে স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেখতে আসা লোকজন মরদেহ দুটি নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের মোহাম্মদ নবীর ছেলে মোহাম্মদ সালাম (২৭) ও লেদা ক্যাম্প এইচ-৩’র হারুন রশিদের ছেলে শফিউল্লাহর (৩৫) বলে শনাক্ত করেছেন বলেও জানান ওসি।
মোহাম্মদ সালামের স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, ১২ দিন আগে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। নাফ নদীতে যে দুটি মরদেহ পাওয়া গেছে তার মধ্যে একজন আমার স্বামী মোহাম্মদ সালাম।
ওসি আবদুল হালিম আরও বলেন, নিহতদের পরিচয় আপাতত নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কী কারণে খুন হয়েছেন এবং কারা খুন করেছে সে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে।

এদিকে রামু থানার পার্শ্ববর্তী গ্রাম অফিসের চর বাঁকখালী নদীর তীর এলাকা থেকে হাত-পা-মুখ বাঁধা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সউত্রে জানা যায়, তাকে খুন করে তার চাচার ২টি গরু লুট করেছে ডাকাত দল-এমনটিই ধারণা করছেন তার পরিবার, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে এলাকায় লুট করতে আসা ডাকাতদের দেখে চিৎকার করায় মানসিক ভারসাম্যহীন এ যুবককে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারণা তাদের।নিহত মীর কাশেম (৩২) ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।

স্থানীয় মেম্বার জাফর আলম জানান, মীর কাশেমের দুহাত পেছনে, মুখ, চোখ এবং পা জোড়া বাঁধা অবস্থায় খাল পাড়ের সবজিক্ষেতে পাওয়া যায়। গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে ধারণা সবার।

অপরদিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে শাহাব উদ্দীন (৪২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার ঈদগাঁও নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, সকালের দিকে স্থানীয়রা চলাচলের সময় নদীতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পোকখালীর পূর্ব গোমাতলী এলাকার শাহাব উদ্দীন নামের এ যুবক মৃগীরোগী ছিলেন। হয়তো সবার অজ্ঞাতসারে নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন