ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিজ ফ্ল্যাট থেকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার খেলাফত মজলিসের সভাপতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কালিন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ কিত্তার মুসলিমবাগ এলাকায় ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তালার ফ্ল্যাটের রান্নাঘর থেকে গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হাফেজ মাওলানা মুফতি আহসান উল্লাহ ছিলেন খেলাফত মজলিস কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ও আহমেদাবাদ ব্রাহ্মণকিত্তা মাদরাসার প্রিন্সিপাল। ব্রাহ্মণকিত্তা এলাকায় তিনি এসএস ডোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন। এছাড়া তিনি আবাসন ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলেন। স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই কন্যা নিয়ে নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তিনি।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মুফতি প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় তার নিজতলার ফ্ল্যাটে থাকা তার মাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন। কিন্তু গতকাল তার মাকে আর ডেকে তোলেননি। তার মা কান্নাকাটির শব্দ শুনে ছেলের ফ্ল্যাটে গিয়ে রান্না ঘরে তার গলাকাটা লাশ ও একটি ধারালো চাকু পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতের অপর ছয় ভাই ভবনটির বিভিন্ন তলায় বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আলাদাভাবে বসবাস করেন।
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি খেলাফত মজলিসের : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর কেরানীগঞ্জ থানার সভাপতি বিশিষ্ট আলেম মুফতি আহসানুল্লাহ এর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লমা ইসমাঈল নূরপুরী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। নেতৃদ্বয় গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, মুফতি আহসানুল্লাহ কেরানীগঞ্জের বহুবিধ কার্যক্রম ও ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নেতৃদ্বয় তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে তার জন্য দোয়া করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন