নগরীর কাজির দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর কোতোয়ালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করে। এজাহারে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের আগেই সোমবার রাতভর নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার বিকেলে সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দেওয়ার সময় কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে চার পুলিশ সদস্যসহ ৫০ জন আহত হন। এ সময় কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি দোকান এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে তাদের মধ্যে ১৬ জনকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতেই পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ও ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। মীরসরাই থানা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে চার পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় মামলাটি করা হয়। চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আহত পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব বড়ুয়া, জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জলৎকার চাকমা, সহকারী উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি, অজয় চাকমা ও কনস্টেবল লিনা আকতার। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। নগর বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আহত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করেছে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে রাতে দিনে বাসা বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। পুলিশের ভয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন