মাটি খুঁড়ে মিলছিল ড্রামভর্তি কঙ্কাল। সেই কঙ্কালের সূত্র ধরে সাড়ে সাত মাস পর শনাক্ত হলো হত্যার শিকার যুবকের পরিচয়। জানা যায়, সাত বছর আগে এই হত্যাকাÐের শিকার হন রাজীব হোসেন কাজী। ২০১৬ সালে লাশ ড্রামে ভরে ফেলে দেয়া হয় পরিত্যক্ত টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই যশোর। লাশ গুমের সাথে জড়িত তিন আসামিকে আটকও করা হয়েছে। চিহ্নিত হয়েছে প্রধান আসামি।
হত্যাকাÐের শিকার রাজীব হোসেন কাজী খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দোলি মহল গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। আটক তিনজন হলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে ও যশোরের কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ সালাম, পুরাতন কসবা এলাকার ইব্রাহিল ও জয়নাল হাওলাদার। হত্যাকাÐের প্রধান অভিযুক্ত পুরাতন কসবা আবু তালেব সড়কের শেখ আজিজুল হকের ছেলে শেখ সজিবুর রহমান বর্তমানে অন্য মামলায় কারাগারে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত বছর ৩০ মে যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি পাড়ার বজলুর রহমান বাউন্ডারি ঘেরা জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য খননকাজ শুরু করেন। এ সময় পরিত্যক্ত পুরাতন টয়লেটের রিং ¯øাবের কুয়ার ভিতর একটি নীল রঙ্গের প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পিবিআই যশোর জেলা ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এদিকে, ড্রামের মধ্যে পাওয়া কঙ্কালের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে পিবিআই। তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাÐে জড়িত সন্দেহে গত সোমবার রাতে মোহাম্মদ সালামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সালাম স্বীকার করেছে, অন্য অসামিরা ভিকটিম রাজীবকে হত্যা করে সালামের সহযোগিতায় লাশ গোপন করার জন্য ড্রামে ভরে তার ব্যবহৃত রিকশায় করে পুরাতন কসবা নিরিবিলি পাড়া শেখ সজিবুর রহমানের অফিসের টয়লেটের কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। আসামি সালামকে গত মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালর আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে দুই আসামি ইব্রাহিম ও জয়নাল হওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিআর পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, এই হত্যাকাÐের মূল আসামি সজিবুর রহমান অন্য একটি মামলায় কারাগারে আটক রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে হত্যার মোটিভ উন্মোচিত হবে। তবে হত্যাকাÐের প্রায় সাত বছর পর হত্যার শিকার যুবকের পরিচয় এবং জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন