বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনার পথে পথে ঘোরা মেয়েটি গাজীপুরের ঈশিতা, ফিরে যাচ্ছে পরিবারের কাছে

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪১ পিএম

খুলনার পথে পথে ঘুরতে থাকা মেয়েটি তার পরিবারের সন্ধান পেয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে তার পরিবারের সদস্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রহণ করেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিশোরীটি বিভ্রান্তের মত খুলনার রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছিল। রাতে স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী মেয়েটিকে রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে এ খবর তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে মেয়েটিকে তাদের জিম্মায় নেন। তাদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীনগরে।
খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলী আকবর জানান, উই আর বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে কেউ একজন কমেন্ট করে মেয়েটির খোঁজ দেয়। পরে গ্রুপের এডমিন তাকে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবীরা রূপসা থেকে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মেয়েটি তখনও প্রলাপ বকছিল। ফেসবুকের মাধ্যমেই ওই কিশোরীর বাবা-মা ও বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনটি।
মেয়েটির বান্ধবী জানায়, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের নিজ বাসা থেকে তার বান্ধবী বের হয়ে যায়। তার পর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. অমিত সাহা জানান, মেয়েটি মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
মেয়েটির মা-বাবা জানান, আকস্মিকভাবে মেয়েকে হারিয়ে তারা কি করবে বুঝতে পারছিলেন না। কেন সে ঘর ছাড়লো বা এই অবস্থা হয়েছে কিছুই জানেন না তারা।
এর আগে, খুলনার সোনাডাঙ্গা এবং শিববাড়ীর মাঝামাঝি সামি হাসপাতালের সামনে এই তরুণীর দেখা মেলে। উদ্ভ্রান্তের মতো তার চলাফেরা। বয়স আনুমানিক ১৬-১৮ বছর হবে। কোনো কথা বলে না। তাকে কেউ চেনেও না। অনেকের চোখে মেয়েটি ‘পাগলি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাকে ঘিরে উৎসুক কিছু মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে। কারণ মেয়েটিকে দেখে ভালো পরিবারের সন্তান বলেই মনে হয়।
পরে জানা যায়, মেয়েটির নাম ঈশিতা। তার বাড়ি গাজীপুরে। কিন্তু সে খুলনা কীভাবে এলো জানা যায়নি। মেয়েটির পরিবারের সন্ধান পেতে ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ প্রচারণা চালায়। বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে কাজ শুরু করে ‘ওয়াব (উই আর বাংলাদেশ)’ নামের একটি গ্রুপ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন