ব্রাজিলের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আবারো শীর্ষে উঠে এসেছে ফিলিস্তিনি ইস্যু। ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ লুলা ডি সিলভা তৃতীয়বারের মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বামপন্থী এই প্রেসিডেন্ট জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার ঠিক একদিন পর ফিলিস্তিনি ইস্যুতে কূটনীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে জেইর বলসোনারোর ইসরাইলপন্থী নীতির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর দেশটির রাজনীতিতে প্রথম সারিতে চলে এসেছে ফিলিস্তিনি ইস্যু।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা প্রতিশ্রিুতি দিয়েছিলেন যে ‘ফিলিস্তিনিরা ব্রাজিলের পূর্ণ মনোযোগ ও সংহতির যোগ্য’।
তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণের একটি ‘মুক্ত ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে’ বসবাসের অধিকার রয়েছে।”
তিনি এই সঙ্ঘাতের মধ্যস্থতা এবং জনগণের আত্মরক্ষার অধিকারে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র নীতির নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন বলেও জানান।
এই প্রতিশ্রুতি রাখতে ক্ষমতায় বসার পরই ফিলিস্তিনের বিষয়ে কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে বোঝা যাচ্ছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ব্রাজিলের অবস্থান কী।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে লুলা ডি সিলভা ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের দৃঢ় সমর্থন থাকবে ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে এবং ১৯৬৭’র সীমানার মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করবে।’ সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন