শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ইসলাম বিরোধী শিক্ষাক্রম মেনে নেওয়া যায় না-সিলেটে এক সেমিনারে বক্তারা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:০৬ পিএম

সিলেটে চলমান শিক্ষাক্রম, স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে ঈমান ইসলাম বিরোধী বক্তব্য, নাস্তিকতা ও বিবর্তনবাদের অনুপ্রবেশ: মুসলিম জনতার করণীয় শীর্ষক সেমিনার সম্পন্ন। গতকাল রবিবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর। বন্দরবাজারের মধুবন মার্কেটের ৪র্থ তলায় হল রুমে খতমে নবুওয়াত পরিষদ সিলেট কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট লেখক-শিক্ষক ও সাংবাদিক মাওলানা শাহিদ হাতিমী। সেমিনারে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ ফয়েজ আহমদ, সংগীত পরিবেশন করেন সায়েম আহমদ।

শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হাবিব ছালেহ এর পরিচালনায় সেমিনারে অনুভূতি পেশ করেন সিলেটের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শায়খ মস্তাক আহমদ খান, সিলেট মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সহসভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন, মিরাবাজার জামেয়ার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুস শাকুর, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, মুফতি মোস্তফা সোহেল হেলালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা হুমায়ুন কবির বাবর, উম্মুল কুরা একাডেমির পরিচালক মাওলানা আহমদুল হক উমামা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন- শিক্ষার মাধ্যমে মানবসমাজ মনুষ্যত্বের জ্ঞান লাভ করে। কিন্তু ইদানিং আমরা লক্ষ্য করছি, মনুষ্যত্বের জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে শিখানো হচ্ছে বিবর্তনবাদ, বানর থেকে মানুষের বংশবিস্তার, ইতিহাস বিকৃতি, নাস্তিকতা, পৌত্তিলকতা, বিকৃত যৌনচার, ঈমান ইসলাম ও ধর্মবিদ্বেষসহ নানান ভুল এবং অসঙ্গতি। এহেন পরিস্থিতিতে ৯২% মুসলমানের দেশ শিক্ষা-সিলেবাস প্রশ্নবিদ্ধ! বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনদিকে যাচ্ছে? কী শিখছে আমাদের শিক্ষার্থীরা? এদেশের মানুষ এমন অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাক্রম মেনে নেওয়া যায় না। যদি অবিলম্বে এই পাঠ্যবইগুলো বাতিল না করা হয়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। আমরা মনে করি নতুন শিক্ষাক্রম বা চলতি-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ঈমান, ইসলাম ও ইতিহাস বিরোধী অধ্যায়ের মূলোৎপাঠনে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা সকল জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা ঈমান ইসলাম রক্ষায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেবো। ইসলাম ও ইতিহাস বিরোধী শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যবই মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে অসঙ্গতিগুলো পাঠ্যবই থেকে বাতিল করতে হবে। নতুবা সারাদেশের জনগণ কঠোর হতে বাধ্য হবে। কোনো মানুষকে যদি বানরের বাচ্চা বানর বলা হয় তাহলে মানুষ মনে করে এটি গালি, তখন রেগে যায়। সুতরাং আমাদের সন্তানদেরকে বানর থেকে মানুষের বংশবিস্তার এমন বই পড়াতে পারি না। এমন বই অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করতো হবে। পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শিশু বাচ্চাদের নাচ গান না শিখিয়ে পারলে কুরআনের আয়াত বা হাদীস শিক্ষা দিন। নতুবা পস্তাতে হবে আমাদের সবাইকে।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আব্দুল বাকি, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ দরবস্তী, মাওলানা আব্দুল্লাহ, হাফিজ সৈয়দ নাহিদ আহমদ, মিনহাজ উদ্দীন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন