সিলেটের কীর্তিমান সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার নিয়মিত কলাম লেখক, সাবেক ইনকিলাব পত্রিকার কলামিষ্ট, সমাজ বিশ্লেষক ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এএইচএম ফিরুজ আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাস্থ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। বর্তমানে তিনি ডা: ফজিলাতুন নেছা মালিক এর তত্বাবধানে চিকিৎধীন রয়েছেন। দুএকদিনের মধ্যে তাঁর হার্টে বাইপাস সার্জারী করা হতে পারে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন। সৎ, সাহসী, অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠ ফিরোজ আলী জীবনে একেবারে সাদামাটা জীবন্যাপন করতেন। আশির দশক হতে সাংবাদিকতা শুরু হলে চারবার তাকে হত্যার জন্য আক্রমন করা হয়। কিন্তু কোন কিছুতেই তাকে তাঁর সরল পথ হতে সরাতে পারেনি। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সময়ে আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা নীরব ভূমিকায় ছিলেন, তৎকালীন সময়ে তিনি একজন প্রতিবাদী নেতা হিসেবে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, আ ন ম শফিকুল হক, ইফতেখার হোসেন শামীম, মাসুক উদ্দিন, জাকির হোসেন, এডভোকেট লুৎফুর রহমানসহ সিলেটের সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ই তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির প্রহসনমূলক নির্বাচনের দিন বিকালে তাঁর ঘরবাড়ি ভাংচুর করে যৌথবাহিনী। তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে যৌথবাহিনী তাঁর প্রয়াত মা সৈয়দা জুবেদা খাতুনকে মারধর করলে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পরবর্তীতে ষ্ট্রোক করে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর উন্নত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ-জীবন প্রতিকুল পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলা করে লেখা-লেখির জগৎ থেকে সরে যাননি। নতুন প্রজন্মের অনেকেই তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এখন সাংবাদিকতা করছেন। সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদুর রহমান সাঈদ কে নিয়ে তিনি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব প্রতিষ্টা করেন। আজীবন প্রচারবিমূখ এই মানুষটি গরীব-দুঃখি, অসহায়, দূঃস্থ মানুষের পাশে থাকা তাঁর চরিত্রের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন