আগামী ৯-১১ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা নিয়ে আসছে ব্র্যাক হোপ ফেস্টিভ্যাল। ব্র্যাক হোপ ফেস্টিভ্যাল ২০২৩-কে সামনে রেখে রাজধানীজুড়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন আয়োজন। এ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে হতে যাচ্ছে ফ্ল্যাশমব, তৈরি হচ্ছে ইনস্টলেশন আর্ট এবং কিয়স্ক। গতকাল ফ্ল্যাশমব অনুষ্ঠিত হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ জানুয়ারি এবং শেষেরটি আয়োজিত হবে তেজগাঁও আড়ং ফ্ল্যাগশিপ স্টোরে ৩ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বজুড়ে ৫০ বছর ধরে ব্রাকের আশা উদ্দীপনের যাত্রাকে ধারণ করে তৈরি থিম সং-এর আদলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফ্ল্যাশমবগুলো। বিশ্বের ১০ কোটির বেশি মানুষের জীবন পরিবর্তনের সহযোগী ব্রাকের নিরন্তর কাজ করে চলার গল্প গানটির উপজীব্য। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পীবৃন্দ। গানটি ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আজ থেকে বসবে আর্ট ইনস্টলেশন। রাজধানীর একাধিক জনসমাগম স্থলে হোপ ফেস্টিভ্যালের প্রতিপাদ্যের ওপর নির্মিত শিল্পকর্ম স্থাপন করা হবে। এই উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রকাশের পাশাপাশি ব্র্যাকের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রার চিত্রও প্রতিফলিত হবে এই কাজগুলোতে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেজিস্ট্রেশন কিওস্ক বসানো হয়েছে। এখানে আগতরা রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি নানান সামাজিক সমস্যার সমাধান নিয়ে নিজেদের আইডিয়া জমা দিতে পারেন। নির্বাচিত আইডিয়া প্রদানকারীরা দেশের প্রখ্যাত চেঞ্জমেকারদের কাছে তাঁদের আইডিয়া তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অংশীদারিত্ব ছাড়া কোনো সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। বাধা মোকাবিলায় নতুন ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের পথচলায় ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে সবাইকে যুক্ত করতে চাই। তরুণ প্রজন্মের মাঝে আশা ও অনুপ্রেরণার জাগরণ হোপ ফেস্টিফ্যালের লক্ষ্য। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘সম্ভাবনার শক্তি’ এবং ‘যে পৃথিবী আমরা গড়তে চাই’ এই তিনটি প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সাজানো হয়েছে তিন দিনের অনুষ্ঠানমালা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন