জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে তরুণ সমাজকে জ্ঞানার্জনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ডে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। নবপ্রজন্ম জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করলেই কেবলমাত্র দেশ এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।"
স্পিকার আজ মানিক মিয়া এভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সারস্বতোৎসব সমন্বয় পর্ষদ আয়োজিত ‘সারস্বতোৎসব’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
সারস্বতোৎসব অনুষ্ঠানে পংকজ দেবনাথ এমপি'র উপস্থাপনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত হয়ে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি, অসীম কুমার উকিল এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, খোদেজা নাসরিন আক্তার এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিদ্যাচর্চার মাধ্যমে আমাদের জাতিগত উৎকর্ষ সাধনে উদ্যমী হতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে মেলবন্ধন আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেখতে পাই, সেটা অটুট রাখতে হবে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তা সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে স্মার্ট গভর্ন্যান্স, স্মার্ট কমিউনিটি চর্চার মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
‘সারস্বতোৎসব’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ও সংসদ সচিবালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দসহ আগত দর্শনার্থী এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন