অনতিবিলম্বে দেশের সকল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা থেকে বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করে নতুন বই ছাত্রদের হাতে তুলে দিন। ৯৫% মুসলমানের দেশে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে নাস্তিক তৈরীর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। বানর হতে মানুষের উৎপত্তি এই ধরণের ইসলাম বিরোধী পাঠ্যদান প্রমাণ করে এই সরকারের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ইসলামের দুশমনরা বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছে।
ডারউইনের মতবাদ এবং বানর হতে মানুষের উৎপত্তি এই ধরণের অবাস্তব ও কল্পকাহিনী সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যেই ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাসে নানা ধরণের ভুল ভ্রান্তির কথা অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করে সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রীকেই বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। কারাবন্দি সকল বিরোধী নেতা ও আলেম-ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
রাজধানীর মানিকনগর ওয়াসা রোডস্থ জামিয়া ইসলামিয়া জহিরুদ্দিন আহমাদ মাদরাসা প্রাঙ্গনে গতকাল বুধবার ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও খতমে বুখারী উপলক্ষে ১০তম বার্ষিক ইসলাহী মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল গণীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জিলানী, টিকাটুলি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন আশ্রাফি, মুফতি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, মুফতি মুহাম্মদ আবু সাঈদ, মাওলানা মেরাজুল হক মাজহারী ও মুফতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দিন ও হাফেজ মাওলানা মুফতি জুবায়ের আহমাদ ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন