বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অর্থনীতিকে চাঙা রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ আয়োজিত ডা. এস এ মালেক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

অর্থনীতিকে চাঙা রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা সরকার করছে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে গেলেও তার সরকার দেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। একদিন এই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কলাবাগান অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে কয়জন অবদান রেখে গেছেন তার মধ্যে ডা. এস এ মালেক একজন। তার লেখনীর হাত ভালো ছিল। সেই লেখনীর মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে সেটাও তিনি লিখে গেছেন। আমি মনে করি সেগুলো আমাদের জন্য একটা বিরাট সম্পদ হিসেবে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার, মানুষের মাঝে জনমত সৃষ্টি, লেখালেখি এবং সংগঠন করার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান রয়েছে। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করলেও কখনও আওয়ামী লীগের সভাপতি হবো তা ভাবিনি। কিন্তু ১৯৮১ সালে আমার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলের মাধ্যমে দল আমাকে সভাপতি করায় দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। ডা. মালেক ও মোহাম্মদ হানিফ আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা জনমত তৈরি করেন এবং বিষয়টি দলীয় ফোরামে নিয়ে যান। এমনকি আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার জন্য বারবার জোর দেওয়ার জন্য ডা. এস এ মালেককে তিরস্কার করা হয়েছিল।

ডা. মালেককে রাজনীতি সচেতন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল। ডা. মালেক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তার যুদ্ধক্ষেত্র কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এয়ার রেইড চলার সময়ও তিনি বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডা. মালেক ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে রাজবাড়ী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোশতাক নিজেকে অবৈধভাবে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অনেক সংসদ সদস্যকে আলোচনার জন্য ডেকেছিল। ডা. মালেক সেখানে যাননি এবং অনেককে সেখানে যোগদান থেকে বিরত রাখেন। পাশাপাশি দেশের মধ্যে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ফলে এক সময় ভারতে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়।

‘৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালিন ডা. মালেকের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিজ হাতে ঝাড়ু নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করতে নেমে পড়েন। মানুষ যাতে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে না পড়ে সেজন্য এই ব্যবস্থা নেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদ করতে এবং তার আদর্শ জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্যই এর সৃষ্টি। কেননা সে সময় শেখ মুজিব নামটাও নিষিদ্ধ ছিল। আর মোশতাক প্রেসিডেন্ট হয়েই জিয়াকে সেনাপ্রধান করার তিন মাসের মধ্যে জিয়া ক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলে এই বঙ্গবন্ধু পরিষদই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রচার করার প্রয়াস নেয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সৃষ্টির পেছনে ড. মতিন চোধুরীর বলিষ্ট ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এর দায়িত্বে থাকা বেগম সুফিয়া কামাল, বিচারপতি কে এম সোবহানসহ অন্যদের অবদানের কথা তিনি স্মরণ করেন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই এদেশকে গড়ে তুলছি। করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা প্রতীকূলতার মাঝে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখাই আমাদের প্রচেষ্টা। এজন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশ একদিন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবেই গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার ডা. এস এ মালেক ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-আলোয় আঁকা সাহসী মানুষের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক এবং ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Arman Khan Ak ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১০ এএম says : 0
শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ থাকলে কখনো পথ হারাবে না।
Total Reply(0)
Yeasin Ahmed ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
বাংলদেশের প্রচেষ্টা দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখা।
Total Reply(0)
MD Forhad Khan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
· শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেখানে হাত দিয়েছেন, সফল হয়েছেন।
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান আমাদের একজন মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন।
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান আমাদের একজন মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন।
Total Reply(0)
Bazlur Rashid ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১২ এএম says : 0
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা।
Total Reply(0)
Bazlur Rashid ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১২ এএম says : 0
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা।
Total Reply(0)
Md Ali Azgor ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
করোনা অতিমারী ও ইউক্রেন যুদ্ধ- সবকিছু মিলিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দার কবলে
Total Reply(0)
Rabbul Islam Khan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ এএম says : 0
দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Total Reply(0)
Nazmul Hasan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১২ এএম says : 0
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন