শাহরুখ খানের ধুঁকতে থাকা ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পাঠান’। বলিউডের দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়েছে সিনেমাটি। তবে ‘পাঠান’র মুক্তি আটকাতে কম চেষ্টা হয়নি। সিনেমাটির নাম, ‘বেশরম রঙ’ গান, দীপিকা পাডুকোনের গেরুয়া বিকিনি নিয়ে আপত্তি উঠেছিল তুঙ্গে। বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দু সংগঠনগুলি ‘পাঠান’র মুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিল। কিন্তু মুক্তির পর সিনেমাটির বিপুল সাফল্য কার্যত মুখ বন্ধ করে দিয়েছে নিন্দুকদের। এখন বলিউড বাদশার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকাই। তাদের মধ্যে অন্যতম পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ।
সম্প্রতি, ‘আনফিল্টারড বাই সামদিশ’-এর শোয়ে হাজির হয়েছিলেন এই পরিচালক। সেখানেই নানান বিষয় নিয়ে বেফাঁস কথা বলেন অনুরাগ কাশ্যপ। কথায় কথায় উঠে এসেছিল শাহরুখ খানের প্রসঙ্গও। অনুরাগ জানান, শাহরুখ তার হৃদয় জুড়ে রয়েছেন। ‘পাঠান’ প্রসঙ্গে অনুরাগ বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, এই ছবিটা হিট হোক। শাহরুখের প্রত্যাবর্তনে আমি খুবই খুশি। শাহরুখ কীভাবে এত ফিট থাকতে পারেন, সেটা আমিও বুঝি না।’
শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গ উঠলে অনুরাগ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ওর সঙ্গে কাজ করার কথা অনেকবার ভেবেছি। আসলে শাহরুখ আমার কলেজের সিনিয়ার ছিলেন। যখনই উনি আমায় ফোন করেন, ফোন ধরে আমি আগে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, তারপর কথা বলি। শাহরুখ আমার কাছে আমার বড় ভাইয়ের মতো। আমার কী করা উচিত না উচিত উনি বলতে থাকেন, তবে এখন সেটা আমার উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। শাহরুখ আমাকে টুইটারে থাকতে না করেছিলেন। অনুরাগের কথায়, আসলে প্রত্যেকে যারা আমায় ভালোবাসেন, তারা চান, আমি জীবনকে তাদের মতো করে দেখি।’
‘আনফিল্টারড বাই সামদিশ’-এ কথায় কথায় উঠে এসেছিল সালমান খানের কথাও। অনুরাগ বলেন, ‘‘সালমান খানের ‘সুলতান’, ‘দাবাং’ এবং ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ সিনেমাগুলো আমার ভালো লেগেছে। যদিও সালমান একটা সিনেমাতে আমায় পরিচালকের আসন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা হল ‘তেরে নাম’।’’ কিন্তু কেন? এই প্রশ্নে অনুরাগ বলেন, ‘‘‘তেরে নাম’-এ সালমানের যে চরিত্রটি সেটি আগ্রা, মধুরা এলাকার দেখানো হয়েছিল, তাই আমি সালমানকে চরিত্রের প্রয়োজনে বুকের চুল বাড়াতে বলি। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে সালমান আমাকে সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেন।’
‘আনফিল্টারড বাই সামদিশ’-এ কথায় কথায় উঠে আসে নোরা ফাতেহির কথাও। অনুরাগ কাশ্যপ জানান, তিনি নোরার ডান্সের একান্ত ভক্ত। এই পরিস্থিতিতে 'নোরার সময়' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বরাবরই ঠোঁটকাটা স্বভাবের অনুরাগ কাশ্যপ। সোজা কথা সোজা করে বলতে ভয় পান না। ইন্ডাস্ট্রির যে কোনও কারোর নাম নিয়ে কথা বলতেও অকুতোভয় তিনি। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। সেই থেকে লড়াই শুরু করেছিলেন এই বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। ক্যারিয়ারের স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে একাধিক রাত তিনি ফুটপাতেও ঘুমিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন