বিবাহোত্তর সংবর্ধনার মাসখানেকের মাথায় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবার আদালতে সারিকা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তবে এখন সেই নির্যাতনের মামলা তুলে নিয়ে ফের এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করেছেন তারা।
এ বিষয়ে সারিকা সাবরিন বলেন, আমাদের বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবার বসেছিল এবং রাহী ক্ষমা চেয়েছে। সে একসঙ্গে থাকার সুযোগ চেয়েছে আর আমি তো তাকে ভালোবাসি তাই মামলা তুলে নিয়েছি। তাছাড়া আমিও চেয়েছি, সুন্দরভাবে সংসার করতে। কারণ, বিয়ে ভাঙা ভালো কিছু নয়। দুজনেরই পরিবার আছে, সমাজ আছে। এটা নিয়ে তারা তো বিব্রত অবস্থায় পড়ে। এই সুন্দর সমাধানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা দুজনই একসঙ্গে সংসার চালাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন রাহির ভাড়া করা বসুন্ধরার বাসাতেই আছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ চায় সবার আগে নিজে ভালো থাকতে, তারপর আশপাশের মানুষকে ভালো রাখতে। ওই সময় আমার ওপর দিয়ে খুব ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মামলা করার আগেও চেষ্টা করেছি সমাধান করতে, হয়নি। পরে বাধ্য হয়েই কাজটি করতে হয়েছিল আমাকে। থাক, সেসব কথা এখন আর না বলি।
গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে জি এস বদরুদ্দিন রাহীকে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই তার স্বামী জি এস বদরুদ্দিন রাহী যৌতুকের টাকার জন্য অভিনেত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন সারিকাকে। এরপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে রাহীর বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী।
তখন তিনি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি স্বামীর কাছ থেকে দূরে আছেন। মা–বাবার সঙ্গে থাকছেন। বাধ্য হয়েই তিনি মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, রাহী হলেন সারিকার দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট বন্ধু মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা মাহিম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সাত বছর প্রেমের পর মাহিমের গলায় মালা পড়ান সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। ২০১৬ সালে সারিকার সেই সংসার ভেঙে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন