অবশেষে ‘মিঠাই’ ফিরেছে। জানান দিল চ্যানেলের নতুন প্রোমো। প্রায় ২ বছর জি বাংলার পর্দায় রাজ করছে ‘মিঠাই’। শুরুর প্রায় ৫৪ সপ্তাহ টিআরপির সিংহাসনে রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিক। তার দাপটে রীতিমতো মুখ থুবরে পড়েছে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক। গ্রামের মেয়ে মিঠাই, শহরে শহরে মিষ্টি বেঁচেই তাঁর সংসার। একসময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়, শহুরে স্মার্টবাবু সিদ্ধার্থর। এরপর কীভাবে যে মিঠাই মোদক পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন, তা মোটামুটি সবারই জানা। ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী, দাদুর কথায় বিয়েও হয়ে যায়, সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের। কিন্তু প্রথম প্রথম একেবারেই মিঠাইকে পছন্দ করতেন না সিদ্ধার্থ। গেঁয়ো মানসিকতা, শিক্ষায়ও জিরো, সিদ্ধার্থ কোনভাবেই ডিজার্ভ করত না মিঠাই। অনেকবার তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও শেষমেশ এক হয় সিদাই জুটি। পরিবারের সবার প্রতি মিঠাইয়ের ভালোবাসা, সিদ্ধার্থর যতœ নেওয়া তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করা সবটাই মিঠাইকে ভালবাসতে শেখায়। যাই হোক, কাহিনী এখন অনেকেরই এগিয়েছে। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের এক ছেলে এখন, যার নাম শাক্য। কিন্তু গল্প অনুযায়ী, মিঠাই বহুদিন হল মারা গিয়েছে। তাই ধারাবাহিকের চার্মও নেই আর। যতই মিঠাইয়ের জায়গায় নতুন চরিত্র মিঠি আসুক বা তাঁকে দেখতে একইরকম হোক না কেন, দর্শক মিঠাইকেই ফেরত চায়। যদিও মিঠাইয়ের মৃত্যু দেখানো হয়নি ধারাবাহিক। তাই অনেকের ধারণা ছিল, মিঠাই জীবিত। আবার অনেকেই বলেন মিঠিই-মিঠাই। দর্শকের সব জল্পনা-কল্পনাকে নিমেষে উড়িয়ে দিয়ে চ্যানেল সদ্য প্রকাশিত করল মিঠাইয়ের নতুন প্রোমো। যা দেখে দর্শকরা উত্তেজিত। প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, ‘সিদ্ধার্থ কোনও একটা জায়গায় মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁর আর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই।’ তাঁর সারা শরীরে রক্তারক্তি অবস্থা। ঠিক এমন সময়েই কোথা থেকে একটি ছোট্ট মেয়ে সিদ্ধার্থকে জল সাধল, এরপর সিদ্ধার্থ জিজ্ঞাসা করে সে কে? বাচ্চাটি বলে সে মিষ্টি। এরপর মিঠাই হ্যারিকেন হাতে নিয়ে ছুটতে ছুটতে মিষ্টিকে ডাকতে আসে। তখনই সিদ্ধার্থর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় মিঠাইয়ের, এবার দেখার পালা সেই কি মিঠাই, তাঁর কি সবকিছু মনে আছে নাকি স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে সিদ্ধার্থকে চিনতে পারবে কিনা মিঠাই! আসলে একের পর এক নতুন নতুন ধারাবাহিকের হিড়িকে অনেক ধারাবাহিকই অল্প কয়েকদিন রাজত্ব করেই বিদায় নিয়েছে চ্যানেল থেকে। আর তার একটাই কারণ, টিআরপিতে ভাল ফল না করার। তেমনি মিঠাইয়ের টিআরপি কমে যাওয়ায় সবার ধারনা ছিল, খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে মিঠাইয়ের। কিন্তু সে গুঁড়ে বালি। কাহিনী ঘোরাতে যে বদ্ধ পরিকর মিঠাই নির্মাতারা, তা নতুন প্রোমো দেখেই প্রমাণিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন