শিক্ষক মুখলেছুর রহমানের দেয়া উপহারের গাড়িটি ইতোমধ্যেই হাতে পেয়েছেন হিরো আলম। উপহার পেয়েই গাড়িটিকে গরিব মানুষের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। উপহারের গাড়ি আনতে গিয়ে কম বিপদে পড়েননি হিরো আলম। তবে এবার ১০ বছরের সরকারি ফি বকেয়া থাকায় উপহারের গাড়ি নিয়ে আরও বড় বিপাকে পড়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। এখন কথা বলে দেখি কী করা হয়।’
জানা গেছে, উপহার পাওয়া ১৮০০ সিসির (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৪১০) এই গাড়িটির ১০ বছরের বকেয়া হিসাবে চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা সরকারি ফি বকেয়া। অর্থাৎ, গত ১০ বছর অবৈধভাবে গাড়িটি ব্যবহার করেছেন ওই শিক্ষক। এখন গাড়িটর লাইসেন্স নবায়ন করতে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমানের ওই গাড়িটির সর্বশেষ ট্যাক্স দেয়া হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। একই বছরের ১৫ জুলাই ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় গাড়িটির। এ কারণে গাড়িটির ১০ বছরের সরকারি ফি বকেয়া রয়েছে।
এ ব্যপারে বিআরটিএ হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘২০১৩ সাল থেকে যদি গাড়িটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকে, তবে এর জন্য বিপুল পরিমাণ বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে।’
এদিকে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পাঁচ বছর ওই গাড়ি ব্যবহার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন মখলিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গাড়িটি পাঁচ বছর যাবৎ কাগজ ছাড়াই চালিয়েছি। হিরো আলমও কাগজপত্র দেখে এবং সবকিছু জেনেই নিয়েছে। আর অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করলে তো ওই গাড়ির কোনো কাগজের প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশে এভাবে হাজার হাজার গাড়ি চলছে।’
গতকাল মঙ্গলবার বেশ আয়োজন করেই গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র হিরো আলমের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষক মুখলিছুর। ওই গাড়ি আনতে গিয়ে পথেই মামলা খেয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয়েছে হিরো আলমেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন