বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন এবার ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’-এ

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথা বলছে। এই অগ্রযাত্রায় দরকার গ্রামীণ জনজীবনের অর্থনৈতিক উন্নতি, দরকার খাদ্য নিরাপত্তাসহ কৃষকের উন্নতি, কৃষির উন্নতি। এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলেই আমাদের আগামীর অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী রাখা যাবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অনুধাবন করেননি, নীতি-নির্ধারণীর মাধ্যমে আপামর জনসাধারণের উপর নির্দেশ দিয়ে বসে থাকেননি। তিনি নিজে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন, সরকারি বাসভবন গণভবনের ভেতরের জায়গাকে কৃষিকাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের কোন অঞ্চলে কোন ধরনের ফসল ফলানোর উপায় কী বা কেমন, তা হাতে কলমে দেখার তাগিদ অনুভব করেছেন। আজকের দিনে গোটা পৃথিবীর কাছে খাদ্য নিরাপত্তার যে চ্যালেঞ্জ তা মাথায় রেখে দেশের জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য-ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়াটি গবেষণার মতো করে দেখে তা মানুষের কল্যাণে পৌঁছে দিতে চাইছেন। এজন্য একজন সরকার প্রধান হয়েও কৃষি অনুশীলনে নেমেছেন। মাটি ও ফসলের সংস্পর্শে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বিষয়টি তুলে ধরতে চ্যানেল আই-এর পরিচালক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে সম্প্রতি এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার ও প্রামাণ্যচিত্র ধারণের সুযোগ দিয়েছেন। ‘শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন : গণভবনে বাংলার মুখ’ শীর্ষক প্রামাণ্য প্রতিবেদনটি আজ শনিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আই-এর ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হবে। শাইখ সিরাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি। তিনিই আমাদের সব ভাইবোনকে কৃষি অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেন। পরবর্তীতে দেশের রাজনীতির সঙ্গে যখন সরাসরি সম্পৃক্ত হলাম তখনও গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে কাজ করেছি, দেখেছি তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। আমাদের দেশের অর্থনীতির ভিত্তিই তো কৃষির উপরে। অন্যদিকে, জনসংখ্যাও বেশি। সেটা বিচার করে কৃষির উপর জোর দিতেই হয় সবসময়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জমি এত উর্বর, একটু চেষ্টা করলেই আমরা আমাদের উৎপাদন আরোও বাড়াতে পারি।’
অনুষ্ঠান সম্পর্কে শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বহুমুখী কৃষি উৎপাদনের যে দৃষ্টান্ত গড়েছেন তা দেশের মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁকে দেখে দেশের মানুষ কৃষিতে আরোও অনেক বেশি আগ্রহী ও উৎসাহিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই কৃষিমুখী কর্মযজ্ঞ প্রমাণ করে, বঙ্গবন্ধু কন্যার কৃষিপ্রেমই গত পনের বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও আগামীর স্বপ্ন পূরণের সবচেয়ে বড় নিয়ামক। এই সময়ে এই ধরনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে পারা আমার উন্নয়ন সাংবাদিকতার জীবনেও একটি বড় মাইলফলক। কারণ, এ বছর সাংবাদিকতায় আমার চারদশক পূর্ণ হলো। একইসঙ্গে চ্যানেল আইতেও হৃদয়ে মাটি ও মানুষ এবার দু’দশকে পদার্পণ করছে। সবমিলে এমন একটি সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্রটি জনমানুষের সামনে তুলে ধরতে পারছি। এতে আমি আনন্দিত।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Mohammad Yousuf ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৩ এএম says : 0
দেশের কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যার অবদান অনস্বীকার্য,,,, তিনি হলেন আমাদের শাইখ সিরাজ ভাই,, ধন্যবাদ ভাই
Total Reply(0)
Mohammad Yousuf ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৩ এএম says : 0
দেশের কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যার অবদান অনস্বীকার্য,,,, তিনি হলেন আমাদের শাইখ সিরাজ ভাই,, ধন্যবাদ ভাই
Total Reply(0)
Jewell Bhuiyan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৪ এএম says : 0
Sir, I hope you join as Minister of Agriculture someday. We need dedicated and visionary people like you running government ministries.
Total Reply(0)
A. K. M. Ferdous ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৩ এএম says : 0
সত্যিই অসাধারন তুমি, অনন্য তুমি, তুমিই বাংলার জননী, তোমাকে হাজারো সালাম। আর শাইখ সিরাজ স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
A. K. M. Ferdous ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৩ এএম says : 0
সত্যিই অসাধারন তুমি, অনন্য তুমি, তুমিই বাংলার জননী, তোমাকে হাজারো সালাম। আর শাইখ সিরাজ স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন