যশোর পলিটেকনিকের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকির মরদেহ পাওয়া গেল সহপাঠীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে। শার্শা উপজেলার নাভারণের দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামে সহপাঠীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গতকাল পিংকির মরদেহ উদ্ধার করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সদস্যরা। নিহত পিংকি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় পিংকির সহপাঠী আহসান কবির অংকুর, তাঁর বড় ভাই রুমেল ও সত্মা হোসনেয়ারাকে আটক করেছে র্যাব। অংকুর দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে। অংকুরও যশোর পলিটেকনিকে চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র।
তবে কী কারণে পিংকিকে হত্যা করা হয়েছে তা বের করতে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে র্যাব সূত্র জানিয়েছে।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি পিংকি যশোর থেকে নিখোঁজ হন। ৫ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর সূত্র ধরে যশোর র্যাব-৬ পিংকির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব পিংকির সহপাঠী অংকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে র্যাব জানতে পারে ৫ ফেব্রুয়ারি একটি মোবাইল ফোন থেকে পিংকির পরিবারকে জানানো হয়, তাদের মেয়েকে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন