বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার কিংব্যাক খ্যাত মোনেম মুন্নার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ (রোববার)। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর ঘাট হতে সোনালী অতীত ক্লাব ও বন্দরে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে শোক র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালী শেষে এতে অংশগ্রহণকারীরা মুন্নার কবর জিয়ারত ও পুষ্পাস্তবক অর্পণ করে তার জন্য দোয়া করেন। এছাড়া বাদ যোহর বন্দর মুন্না স্মৃতি ক্লাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিলে মুন্নার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। তার প্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেড নিজেদের অফিসিয়াল টুইটারে মুন্নাকে স্মরণ করে বিনম্্র শ্রদ্ধা জানালেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দায়সারাভাবে কিংব্যাক মুন্নাকে স্মরণ করেছে! সাবেক এই তারকা ফুটবলারের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুন্নার রুহের মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দায়সারা মুন্নাস্মরণ করে বাফুফে।
২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন মোনেম মুন্না। ১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল তার। মরহুম মুন্না তিনবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টাইগার ট্রফি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সাফ গেমসে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ মুন্না ৩০ বছর বয়সে দেশের পক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল ওই ম্যাচটি। তিনি আমৃত্যু ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুন্নার স্মরণে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন