বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জ্বী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা চেতনার সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষা সিলেবাসকে প্রণয়ন করতে হবে। এজন্য বিজ্ঞ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের সম্পৃক্ত করে জাতীয় শিক্ষা কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। বিতর্কিত দুটি পাঠ্য বই প্রত্যাহার করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
বিতর্কিত সকল পাঠ্যপুস্তক বাতিল, ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলককরণ, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এসব কথা বলেন। গণমিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন দলের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সহকারী মহাসচিব আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব হাজী জালাল উদ্দীন বকুল, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, ইঞ্জিনিয়ার মুফাসসির হোসাইন,মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা শেখ সাদী, মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী, মুফতি আবুল হাসান কাসেমী,মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী,মাওলানা আল আমিন,মুফতি জাকির বিল্লাহ, ও মৌলভী আ. রকিব।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি ২০২৩ সালের এর মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদের অনুপ্রবেশ, ইসলামের পর্দার বিধানকে নিরুৎসাহিত করা, পৌত্তলিক ও ব্রাক্ষণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং অন্যের লেখা, গবেষণালব্ধ তথ্য ইত্যাদি নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার মত নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশা জনক।
প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের সকল আপত্তিকর লেখা বাদ দিতে হবে। যারা পাঠ্য পুস্তকেকে বিতর্কিত করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কারাবন্দি আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, দ্রব্যমূল্যের আগুনে বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশ জ্বলছে। গ্যাস বিদ্যুৎ তেল চাল আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আর্থিক সঙ্কটে জনগণ চরম কষ্টে নিমজ্জিত। জাতিকে এ কঠিন অবস্থা থেকে উদ্ধারে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে নতুন পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে মানুষের জন্ম পরিচয় ভুলিয়ে দিতে চায়। আলেমরা সজাগ থাকতে মুসলমানদেরকে বেঈমান বানানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। পরে নগরীতে গণমিছিল বের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন