বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি রাজধানীতে পদযাত্রা করবে ১৭ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে পদযাত্রা করবে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, আটা, লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও দমন-নিপীড়ণের প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী ও দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিষ্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী সকল মহানগরে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্যান্য মহানগরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি হলেও ঢাকায় একদিন এগিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটায় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক পদযাত্রা করা হবে। তিনি বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল মহানগর এবং এর অধীনস্থ সকল থানা, ওয়ার্ডসহ সকল ইউনিটের নেতাকর্মী, সমর্থকদের মহানগর পদযাত্রায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স এসব কথা বলেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার ৪ দিন পারেও গায়েবী মামলার মিছিল থামছেই না। এই গায়েবী মামলাকে হাতিয়ার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চলছে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ণ ও হয়রানীর তাÐব।

তিনি বলেন, আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা কথায় কথায় সংবিধানের কথা বললেও তারা নিজেরাই তা লঙ্ঘন করছে। গণতন্ত্র, নির্বাচন ও রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বেড়াজালে দেশবাসীকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জল গণতান্ত্রিক চরিত্র আওয়ামী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে, কর্তৃত্ববাদী শাসন, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে দেশ আজ ক্ষতবিক্ষত। আর যে কারণে অনেক অনুনয়-বিনয়ের পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। দেশের আর্থিক অবস্থা এখন সরকার ও তাদের অনুগত লোকদের দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারীতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন এতটাই শোচনীয় যে রেকর্ড পরিমান টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার। দেশী-বিদেশী ঋণ এবং একই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিসহ জীবনযাত্রার লাগামহীন ব্যয় বৃদ্ধির বোঝার ভারে দেশবাসীকে নুহ্য করে ফেলা হয়েছে। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায়না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী গণবিরোধী ও গণতন্ত্র বিধ্বংসী এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন