নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অটোরিকশা চালক আব্দুল্লাহ আল মনছুর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গতকাল বুধবার র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক একেএম মুুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি ও আড়াইহাজারের কাদিরদিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বায়েরচর এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু (৪০) এবং কাদিরদিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রমজান আলী (২২)।
র্যাব জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মনছুর (২১) নামের এক অটোরিকশাচালক নিখোঁজ হন। নিখোঁজের তিনদিন পর তার মা ছেমনা খাতুন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোনারগাঁয়ের বেইলর এলাকার নতুন রাস্তার পাশে একটি ডোবায় বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্বজনরা মরদেহটি নিখোঁজ মনছুরের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ওইদিন সোনারগাঁ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় র্যাব-১১ গত মঙ্গলবার রাতে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে মূল পরিকল্পনা ও হত্যাকারী মঞ্জুর হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে। মঞ্জুরে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আড়াইহাজারের কাদিরদিয়া এলাকা থেকে ছিনতাই করা অটোরিকশাসহ রমজান আলী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং ভুক্তভোগীর ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা এ হত্যাকান্ড ঘটায়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এখনো কাউকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তরের পর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন