বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানো ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ এবং খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী গণবিরোধী, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে জেলা পর্যায়ে পদযাত্রার অংশ হিসেবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান সাবেক এমপি বরকত উল্লাহ বলেছেন,ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে আমাদের আন্দোলন। এ আন্দোলনের রেশ পৌঁছে গেছে তৃণমূলে।শুধু বিএনপি নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষ চলমান কর্মসূচিতে সতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। সরকার পতনের আন্দোলন আজকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে শুরু করে সরকারি বিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। এই দেশের মানুষ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অবিলম্বে পদত্যাগ না করেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই সরকারকে বিদায় করা হবে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেই লক্ষ্যে সকল আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় পদযাত্রা শুরুর আগে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপি'র ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য শেষে কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, মোগলটুলি, সার্কিটহাউজ ও জিলাস্কুল সড়ক হয়ে পদযাত্রাটি দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলায় কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রিয় নেতা হাবিব উন নবী সোহেলের নেতৃত্বে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদযাত্রায় অংশ নিতে সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নির্দেশে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির একটি মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভানি ইউনিয়নের খাদঘরে পৌঁছলে মিছিলটি পুলিশিবাধার সন্মুখিন হয়। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন জানান, তাদের মিছিলে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এঘটনায় উপজেলা বিএনপির খাইরুল, ফারুক খান, জাকির হোসেন, হেলাল ও ইউসুফ মুন্সী নামে ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন