শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে ‘দুর্বল’ করেছে: জি ২০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:০৮ পিএম

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে দুই দিন ধরে চলা জি ২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির গভর্নরদের নিয়ে বৈঠক শনিবার শেষ হয়েছে। এই বৈঠকের পর, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের ‘সারাংশ’ প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকের পরে, ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ‘জি ২০ দেশগুলি ঋণ ব্যবস্থাপনায় দুর্বল দেশগুলিকে সাহায্য করার বিষয়ে একমত হয়েছে, করোনার সঙ্কট মোকাবিলা করতে গিয়ে বিভিন্ন দেশকেই ঋণ নিতে হয়েছে। তার উপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির উপরে ঋণের বোঝা বেশি চেপেছে। এফএমসিবিজি-তে ঋণ এবং ক্রিপ্টো ব্যবস্থা সহজ করার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’।

যদিও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন যে, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এটা কিছুটা আশার আলো দেখালেও আমাদের সামনে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেগুলির বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুসারে, আরবিআই গভর্নর বলেছেন, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে অনেক আর্থিক ঝুঁকি এবং অস্থিতিশীলতা রয়েছে। সেগুলি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’

নির্মলা সীতারামন উন্নয়নশীল দেশেগুলির ‘ঋণ পরিস্থিতি’র বিষয়টি বৈঠকে উত্থাপন করার পাশাপাশি এবং এই ঋণ মোকাবেলা করার জন্য বহুপাক্ষিক সমন্বয়ের বিষয়ে জি ২০ সদস্য দেশগুলির মতামতকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। একই সময়ে, তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত একটি সমন্বিত বৈশ্বিক নীতি প্রণয়নে জি ২০ দেশগুলির মতামতকে স্বাগত জানান। তিনি বলেছেন যে, এফএমসিবিজি ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সহজ প্রক্রিয়ায় সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্বল দেশগুলো ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য জি-২০ দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। চারটি দেশ – ঘানা, শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়া এবং ইথিওপিয়া – এই আলোচনা থেকে উপকৃত হবে।

এর আগে, যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জি ২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নররা ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের সভাপতিত্বে ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার থিম’ নিয়ে বৈঠক করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক নীতিগত সহযোগিতা বাড়াতে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে শক্তিশালী, টেকসই, ভারসাম্যপূর্ণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শ্রীলঙ্কার ঋণ পরিস্থিতির অবিলম্বে সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছি। উপরন্তু, আমরা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ঋণের দুর্বলতা মোকাবেলার করার বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করতে চলেছি।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস গত বছরের ডিসেম্বরে বলেছিলেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির বার্ষিক ঋণ রয়েছে ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালের ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ম্যালপাস আরও উল্লেখ করেছেন যে, নিম্ন আয়ের দেশগুলি ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এটা কিছুটা আশার আলো দেখালেও আমাদের সামনে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেগুলির বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুসারে, আরবিআই গভর্নর বলেছেন, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে অনেক আর্থিক ঝুঁকি এবং অস্থিতিশীলতা রয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন