সিলেটের ওসমানীনগরে দুই সন্তানের পিতা আলী আকবর (২৮) এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। আকবর আলী উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মজলিসপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার অনুমান দুপুর ১২ টার দিকে তার বসত ঘরে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, আকবর আলী প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন লাভলী বেগমকে। অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে চলছিল তাদের সংসার। তার রয়েছে দুই শিশু পুত্র সন্তান। এরই মধ্যে আকবর অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নেয়। স্ত্রী লাভলী বেগম তাতে বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে। আত্মহত্যার ঘটনার আগের দিন লাভলীকে মারধর করলে স্থানীয়রা তাকে তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে আকবর আলী যাকে বিয়ে করতে চায় সে মেয়ে অন্য এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। এমন খবর আকবরের কাছে আসলে সে রবিবার অনুমান দুপুরের দিকে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্ত্রী লাভলী বেগম চিৎকার করে বলতে থাকেন। তার আত্মীয়রা বেলা আড়াই টার দিকে তারা আকবরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের এবং ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ খুকুকে খবর দেন। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আকবরের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, আমার স্বামীর সাথে একটি মেয়ে প্রেম করে। এবং ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমি বাধা দেই। এ কারণে সে আমাকে মারধর করতো। ঘটনার আগের দিন আমাকে মারধর করলে আমি আমার পিত্রালয়ে চলে যাই। কিন্তু আমার স্বামী যে মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে মেয়েও অন্য এক চেলের সাথে পালিয়ে যায়। এমন খবর সে পেলে আত্মহত্যা করে। আমি ঐ মেযের বিচার চাই। যে আমার স্বামীর সাথে প্রেম করে এমন নির্মম ঘটনার দিকে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে এসআই সুবনিয় বৈধ্য বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে লাশের সরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসি।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাঈনুদ্দীন লাশ উদ্ধারের ঘটনাা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্ত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন