ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আহবান জানান কুয়াকাটার পর্যটন উদ্যোক্তা হাসনুল ইকবাল।সোমবার দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মা মাটি ও মানুষ সংগঠনের চেয়ারম্যান মারফিয়া খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে হাসনুল ইকবাল বলেন, করোনা মহামারির পর ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ পৃথিবীকে ক্রমাগত সংকটে ফেলছে। সম্প্রতি এ সংকট আরও তীব্র হচ্ছে রাশিয়ার সাথে চীনের যোগ দেওয়ার আভাসে। রাশিয়া ন্যাটো জোটের প্রস্তুতি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর শান্তি প্রিয় কোটি কোটি মানুষ এ যুদ্ধ চায় না। এমন সংকটময় মুহূর্তে বিশ্বের ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরাই পারে এ যুদ্ধ থামাতে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধই পারে যুদ্ধ বন্ধে ভুমিকা রাখতে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বড় বড় ঘটনার সমাধান হয়েছে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে। যার উদাহরণ ১৯৭০ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকা B-50 যুদ্ধ বিমান থেকে শত শত টন নাপাম বোমা নিক্ষেপ করে হাজার হাজার ভিয়েতনামী শিশু নারী পুরুষ মেরে ফেলছিল। তখন সুইডেনের একজন ছাত্র রাস্তার নেমে এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং পোপ ফ্রান্সিস যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানানোর পরও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। বিশ্বের এমন সংকটময় মুহূর্তে পৃথিবীর সকল বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক যোগে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানানোর হবে। তাহলে হয়তো যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। অন্যথায় তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের অবতারণা ঘটবে। তখন আমরা সারা বিশ্ববাসীকে এর মাসুল দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মা মাটি ও মানুষ সংগঠনের চেয়ারম্যান মারফিয়া খান বলেন, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্বের গরীব দেশগুলো আরো গরীব হচ্ছে, অর্থনীতি ভঙ্গুর হচ্ছে, মানুষ না খেয়ে মরছে। আর ধনী দেশগুলো তখন অস্ত্র কেনাবেচা করে ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে। রাশিয়া- ন্যাটো জোট আধিপত্ত বিস্তারের অপ-চর্চা পৃথিবীকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বিশ্বকে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দীন বিপ্লব, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু,কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান সহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন