এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রখ্যাত সাংবাদিক, কবি, লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা। আতাহার খানের একটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি কিশোর উপন্যাস। কাব্যগ্রন্থ ‘জ্বলছি এখন’ প্রকাশ করেছে প্রতিবিম্ব প্রকাশ। কিশোর উপন্যাস টুটুলের দ্বিতীয় পৃথিবী প্রকাশ করেছে বাংলা প্রকাশ। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আতাহার খান মূলত একজন কবি। তাঁকে সত্তর দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বরাবরই নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ। তবে তাঁর লেখালেখি ব্যক্তি আতাহার খানের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে। শুদ্ধ সাহিত্য ও চিন্তার ভিন্ন প্রকাশ তার লেখালেখির মূল বৈশিষ্ট্য। প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে লেখালেখির ভিন্ন এক জগতে বিচরণ করেন তিনি। এ কারণে পাঠকও সাহিত্যমহলে তাঁর আলাদা খ্যাতি রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকেই তার লেখালেখি শুরু। সত্তর দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন কবি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সাথে যৌথ কাব্যগ্রন্থ ‘শব্দের আকাক্সক্ষায় সূর্য’ কাব্যগ্রন্থে তার প্রথম কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিলেও লেখালেখি থামননি। তবে অভিমান করে একবার লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আবার মনোযোগী হন। দীর্ঘ বছর পার হয়ে ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করেন কাব্যগ্রন্থ ‘শিরস্ত্রান খোল যুবরাজ’। তারপর একে প্রকাশিত হয় ‘দ্বিতীয় প্রেম ও কিছু দাগ’, ‘এই জলকণা নাও নদী’, ‘আমার পৃথিবী, ‘দাঁড়ানোটাই মূল কথা’, ‘কবিতা সংগ্রহ’, ‘শূন্যে শুয়ে আছি’, ‘বিপ্লব এখন সঙ্ঘাহীন’। কিশোর উপন্যাস লিখেছেন দুটি। ‘টুটুলের পৃথিবী’ এবং ‘টুটুলের দ্বিতীয় পৃথিবী’। এছাড়া অনুবাদ করেছেন, ‘হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা’। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় তার অসংখ্য কবিতা, প্রবন্ধ ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকতা পেশায় তিনি অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন। তার হাত ধরে অনেক সাংবাদিক তৈরি হয়েছে। তাদের অনেকে এখন নিজ নিজ অবস্থানে খ্যাতির সঙ্গে কাজ করছেন। দৈনিক ইনকিলাবের একসময়ের পাঠকপ্রিয় সাপ্তাহিক পূর্ণিমা তার হাত ধরেই প্রকাশিত হয়। এছাড়া দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক সকালের খবর প্রকাশেও প্রধানতম ভূমিকা পালন করেন। সাপ্তাহিক রোববার, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক যুগান্তরসহ আরও অনেক পত্রিকায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন