ঢাকা মহানগরে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১৩টি পরিবহনে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। গতকাল সোমবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকারের পাঠানো এক আমন্ত্রণপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়, ঢাকা মহানগরে ৩য় পর্বে ১৩টি পরিবহন কোম্পানিতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ উপস্থিত থাকবেন। এ প্রসঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসে এটি চালু করা হবে। বিস্তারিত মঙ্গলবার জানানো হবে।
জানা যায়, ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে ঢাকার গণপরিবহনে। ২০২২ সালের শেষের দিকে হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহনে এ ব্যবস্থা চালু হয় পরীক্ষামূলকভাবে। রাজধানীর ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং চালু হয় ১০ জানুয়ারি থেকে। প্রথমদিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং। তবে এবার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে চলাচলরত ১৫টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে। ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রীরাও ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বেশ খুশি।
এক্ষেত্রে বাসে ওঠার আগে বা যাত্রাকালে বাসের কন্ডাক্টর বা হেল্পারের কাছ থেকে ই-টিকিটটি সংগ্রহ করতে হয়। এক্ষেত্রে তারা ই-টিকিটিং মেশিনের (পজ মেশিনের মতো) মাধ্যমে আপনার গন্তব্য স্থান জেনে নির্দিষ্ট বাটনে চাপলে ভাড়ার পরিমাণসহ একটি কাগজ বেরিয়ে আসে। সে অনুযায়ী পরিশোধ করতে হয় ভাড়া। এতে কোন স্থান থেকে বাসে উঠেছেন ও আপনার গন্তব্য কোথায় তার উল্লেখ থাকবে। পাশাপাশি টিকিট কাটার সময়, তারিখ, কে ইস্যু করলেন ইত্যাদি তথ্যের উল্লেখ থাকবে ই-টিকিটে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে বলে দাবি করছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা। রাজধানীবাসীও ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন এই ব্যবস্থাকে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম আছে। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কাজ করছে।
শহর ও শহরতলী রুটের বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার জন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মিরপুর ভিত্তিক ঢাকার আটটি পরিবহন কোম্পানি এবং ১৩ নভেম্বর ২২টি পরিবহন কোম্পানিসহ মোট ৩০টি কোম্পানির মোট এক হাজার ৬৪৩টি বাসে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করেছি। বাকি গাড়িতে কার্যকর করার লক্ষ্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তিনটি পরিদর্শক দল প্রতিদিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন