দ্বিতীয় দফায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে প্রস্তুত মানিক সাহা। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮ মার্চ পরবর্তী মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ করবে। শুক্রবার (৩ মার্চ), রাজ ভবনে গিয়ে রাজ্যপাল এসএন আর্যের কাছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়ছেন মানিক সাহা।
তবে, নতুন সরকার শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত ত্রিপুরার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর মানিক সাহা বলেছেন, “রাজ্যপালের কাছে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তিনি আমাকে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্ভবত ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।”
বৃহস্পতিবারই, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩৩টি আসন জিতে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি-আইপিএফটি জোট। ত্রিপুরায় টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রেখেছে তারা। ত্রিপুরার নবতম রাজনৈতিক দল প্রদ্যোত দেববর্মার নেতৃত্বাধীন তিপ্রা মোথা পার্টি প্রথমবার নির্বাচনে লড়েই ১৩টি আসন দখল করেছে। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ১৪টি আসন। ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
নাগাল্যান্ডেও বিজেপি এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির জোট ৩৭টি আসন জিতে সহজেই সরকার গঠন করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি জিতেছে ১২টি আসনে, এনডিপিপি ২৫টিতে। ফের নেফিউ রিওই মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে, কবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, মেঘালয়ে অবশ্য কোনও দলই একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা পায়নি। ক্ষমতাসীন এনপিপি ২৬টি আসন জিতে সর্ববৃহৎ দল হয়েছে। ইউডিপি ১১টি আসন জিতেছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস ৫টি করে আসন জিতেছে। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ২টি আসন। নির্বাচনে আলাদা আলাদাভাবে লড়লেও, নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে ফের জোট বাঁধছে এনপিপি। এদিন রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন কনরাড সাংমা। সেই সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। তার সঙ্গে দলের ২৬জন বিধায়কের পাশাপাশি ২জন বিজেপি বিধায়ক ও একজন সতন্ত্র বিধায়ক ছিলেন। শোনা যাচ্ছে রাজ্যপাল সরকার গড়তে ডাকলে ৭ মার্চই শপথ নেবেন কনরাড সাংমা। সূত্র: টিভি৯।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন