বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর এখন আছেন অস্ট্রেলিয়া। অভিনয়ে তিনি আর নিয়মিত নন। অন্যদিকে সিনেমা ছাড়লেও শোবিজ ছাড়েননি আরেক জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা। দুজনের মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। সম্প্রতি পূর্ণিমাও গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে ডেকে নিয়েছিলেন শাবনূরকে। দুজন মিলে বানিয়েছেন একটি আড্ডার লাইভ ভিডিও।
সেই ভিডিওতে হাস্যোজ্বল মুখে পূর্ণিমাকে শাবনূর বলেন, আমাদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বাজে ধারণা আছে। সবাই মনে করে আমাদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। এটা একটু পরিষ্কার করে দাও তো।
এ সময় পূর্ণিমা বললেন, আসলে আমাদের মধ্যে ফুলে-ফুলে সম্পর্ক। তিনি আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী। আমরা তাকে (শাবনুর) দেখেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তিনি আমাদের অভিনয়ের ইনস্টিটিউট। আমরা এখনো অভিনয় করতে গেলে সবার আগে শাবনূর আপুর কথা মনে আসে। তিনি কীভাবে, কোন এক্সপ্রেশন দিতেন, সেটা মনে করে কাজ করি। যদিও আমরা বা আমি তার ধারেকাছে যেতে পারিনি। তিনি আসলেই অসাধারণ একজন মানুষ।
শানবূরও পূর্ণিমার প্রশংসায় বললেন, পূর্ণিমার এত গুণ! আমার মনে হয়, আমি ওর মতো পারবো না। এত সুন্দর করে কীভাবে কথা বলে, স্টেজে পারফর্মেন্স করে। ওর আসলে গুণের শেষ নেই। দেখতেও সুন্দর। ওর তুলনা ও নিজেই। আমি অনেক খুশি হয়েছি, ওর অস্ট্রেলিয়া আসার খবর শুনে। এরপর আমি ওকে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজেছি।
পূর্ণিমার সঙ্গে সিনেমা করার আশ্বাসও দিলেন শাবনূর। তবে সেটা ঢাকায় নয়, বরং অস্ট্রেলিয়ায় হবে। শাবনুর বলেন, আমরা দুজন আবার ছবি করলে কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়াতে করবো। ইচ্ছে আছে করার। এখনই বলতে পারছি না, কতদূর করতে পারবো। কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা নেই।
শাবনূরের কথায় সায় দিয়ে পূর্ণিমা নিজের একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, একটা সত্যি ঘটনা বলি, শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট। তার যন্ত্রণায় আমরা কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না! কোনো ছবির ধারেকাছে যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শুটিং করতাম, তখন নির্মাতা-কোরিওগ্রাফাররা বলতেন, কী এক্সপ্রেশন দাও! শাবনূরের মতো করো। শাবনূরের চোখ কথা বলে, ঠোঁট কথা বলে; তার পায়ের যোগ্যতা নেই। এসব শুনে আমি কোণায় গিয়ে কাঁদতাম।
সবশেষে ভক্তদের ধন্যবাদ-ভালোবাসা জানিয়ে ভিডিও শেষ করেন দুই নায়িকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন