জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৩১তম ব্যাচের ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজারো দর্শককে গানের সুরে মাতালেন অঞ্জন দত্ত। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গান পরিবেশন করেন তিনি। এ সময় বেলা বোস, রঞ্জনা, আমি বৃষ্টি দেখেছি, ম্যারী এ্যান, তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো নাসহ আরও একাধিক গান পরিবেশন করেন অঞ্জন দত্ত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্জে গান পরিবেশনকালে অঞ্জন দত্ত বলেন, বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলাম ১৯৯৭ সালে। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম এসেছি। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। এপার বাংলার লাখ লাখ দর্শক শ্রোতা রয়েছে আমার। যাদেরকে আমি অনেক ভালোবাসি এবং স্মরণ করি। আমি এসব মানুষের ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
তিনি আরও বলেন, বেলা বোস নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নাই এখন তিনি হয়তো মূখার্জি, খান অথবা চৌধুরী হয়ে গেছেন। এখন ল্যান্ডফোনের যুগটাও নেই, হয়ে গেছে মোবাইলের যুগ। তবুও আপনারা বেলা বোস নিয়ে পড়ে আছেন?
পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত গায়ক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক অঞ্জন দত্তের গান সরাসরি শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
মুক্তমঞ্চে গান শুনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাবেক শিক্ষার্থী সোহেল পারভেজ বলেন, অঞ্জন দত্তের জীবনমুখী গান শুনে খুব ভালো লাগছে। জাহাঙ্গীরনগরে এটা অঞ্জন দত্তের প্রথম কনসার্ট। ৩১ ব্যাচের সবাইকে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরেক শিক্ষার্থী আলফি বলেন, এত সামনে থেকে তার গান শুনতে পাবো এটা আসলে চিন্তার বাইরে ছিল। তিনি বাংলাদেশি না হলেও তিনি বাঙালি এবং এদেশের মানুষের প্রাণে মিশে আছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম ব্যাচের ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আলমগীর কবির, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ। এর আগে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পালন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় র্যালি, সাড়ে ১০টায় স্মৃতিচারণ ও মিউজিক্যাল শো, বিকেল ৫টায় মুক্তমঞ্চে বন্ধুদের আড্ডার আয়োজন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন