এম আর মাহবুব : রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও অমর একুশের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী আমাদের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই ঘটনাবলী পরবর্তীতে স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যুগিয়েছিল মূল প্রেরণা। কাজেই ভাষা আন্দোলনের দুর্লভ তথ্যাবলী ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃত। আলোচ্য নিবন্ধনে এক নজরে ভাষা আন্দোলনে কিছু দুর্লভ তথ্য সন্বিবেশিত হলো।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা : বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবিতে প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করে তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। অধ্যাপক আবুল কাশেম কর্তৃক প্রকাশিত এই পুস্তিকায় বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অফিসাদির ভাষা, আদালতের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম করার এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এই দাবির ভিত্তিতেই সমগ্র ভাষা আন্দোলন পরিচালিত হয়।
একুশের প্রথম শহিদ : মহান একুশের প্রথম শহিদ হচ্ছেন রফিক উদ্দিন আহমেদ। তিনি মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের আইকম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিক মরহুম আবদুল লতিফের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তার মায়ের নাম রাফিজ খাতুন। গুলিতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়।
প্রথম লিফলেট : একুশে ফেব্রুয়ারি গুলি হওয়ার তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই একটি লিফলেট প্রকাশিত হয়। এই লিফলেটের লেখক ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। এ সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘আমি, আমীর আলী আর একজন আমার সঙ্গে ছিল। আমরা তিনজন মধুর ক্যান্টিনে ফিরে আসি এবং জেলখানার উল্টো দিকে ক্যাপিটাল প্রেসে চলে যাই। সেখানে বসেই একটা লিফলেট লিখি। সেখানে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে প্রুফ দেখে লিফলেটটি ছাপিয়ে আনি। প্রেসটি সেদিন আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছিলো।’
প্রথম গায়েবানা নামাজে জানাজা : ১৯৫২ সালের মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদদের প্রথম গায়েবানা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে।
প্রথম নাটক : একুশের প্রথম নাটকের নাম ‘কবর’। নাটকটি লিখেছিলেন আমাদের দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, নাট্যকার মুনীর চৌধুরী। মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি নাটকটি লেখেন এবং ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে রাত ১০টার পর জেলকক্ষসমূহের বাতি নিভিয়ে দেয়ার পর নাটকটি অভিনীত হয় হারিকেনের আলো-আঁধারি পরিবেশে। এতে অংশ নেন জেলেবন্দি সংগ্রামীরা।
প্রথম গান : একুশের প্রথম গান রচনা করেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। গানটির প্রথম চরণ নিম্নরূপÑ
‘ভুলব না ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’। ১৯৫৩-৫৪ সাল পর্যন্ত এই গানটি গেয়েই প্রভাতফেরী করা হতো।
প্রথম উপন্যাস : একুশে ও ভাষা আন্দোলনের উপর লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম ‘আরেক ফাল্গুন’। উপন্যাসটি লেখেন জহির রায়হান। পঞ্চাশের দশকে এটি একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। উপন্যাসটি বই আকারে বের হয় ১৯৬৩ সালে।
প্রথম কালো ব্যাজ ধারণ : একুশের হত্যাকা-ের ঘটনা শোনামাত্র ওই দিনই প্রথম কালো ব্যাজ পরেন জ্ঞানতাপস, ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি নিজের কালো আচকান কেটে এই ব্যাজ তৈরি করেছিলেন।
প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী : রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও একুশের উপর ১৯৫৪ সালে প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় বর্ধমান হাউসে (তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন) যা বর্তমানে বাংলা একাডেমির মূল ভবন। এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। তার সাথে ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হাই।
কালো ব্যাজ ধারণে প্রথম নিষেধাজ্ঞা : একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণের উপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পয়লা ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫।
প্রথম কবিতা : একুশের প্রথম কবিতা রচনা করেন চট্টগ্রামের কবি মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী।
একুশে স্মরণে প্রথম বিশেষ সংখ্যা : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির গুলি ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে হরতাল পালিত হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আবার মিছিলে গুলি চালায় এবং বহু ছাত্র-জনতা হতাহত হয়। একুশের এই রক্তাক্ত ঘটনার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সৈনিকের শহিদ সংখ্যা। সকালে পত্রিকা প্রকাশিত হওয়ার মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে মুদ্রিত সকল কপি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং পরে পুনঃমুদ্রণ করা হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মরণে প্রকাশিত কোনো পত্রিকার প্রথম বিশেষ সংখ্যা।
প্রথম সংকলন : একুশের প্রথম সংকলনের নাম ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। এটি সম্পাদনা করেছেন কবি হাসান হাফিজুর রহমান। ১৯৫৩ সালে পুঁথিপত্র প্রকাশনী থেকে সংকলনটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিককর্মী মোহাম্মদ সুলতান।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসবিষয়ক প্রথম পুস্তক : ১৯৫২ সালে প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার মাত্র তিন মাস পর ভাষা আন্দোলন এবং একুশের ইতিহাস বিষয়ে রচিত সর্বপ্রথম গ্রন্থের নাম ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’। গ্রন্থটির রচয়িতা ও প্রকাশক প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম। গ্রন্থটি ১৯৫২ সালের জুন মাসে ‘আমাদের প্রেস’ থেকে মুদ্রিত এবং তমদ্দুন লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত হয়।
পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা : পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা করেন আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, ১২ আগস্ট ১৯৫৫ সালে।
শহিদ দিবসকে প্রথম সরকারি ছুটি ঘোষণা : ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে প্রথম সরকারি ছুটি ঘোষণা কার্যকর করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে।
একুশের শোক প্রকাশের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে প্রথম সম্পাদকীয় : একুশের শোক প্রকাশে বাধাদানে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করে প্রথম সম্পাদকীয় প্রকাশ করে সাপ্তাহিক সৈনিক, ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫ সালে। সম্পদকীয়টির শিরোনাম ছিল ‘পূর্ববঙ্গ সরকারের শহিদ দিবস সম্পর্কিত প্রেসনোট জনগণকে তাদের অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে।’
বাংলা কলেজ : বাংলা ভাষা চালুর প্রথম প্রতিষ্ঠান : শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা চালুর জন্য প্রথম প্রতিষ্ঠানের নাম ‘বাংলা কলেজ’। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় পয়লা অক্টোবর ১৯৬২ সালে। প্রতিষ্ঠাতা-প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম। বাংলা কলেজের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ্যপুস্তক সমস্যার সমাধান, পরিভাষা সমস্যার সমাধান এবং পরীক্ষায় বাংলা প্রবেশপত্র চালু করা হয়।
অফিসের কাজে বাংলা ভাষা প্রচলনের প্রথম সরকারি নির্দেশ : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অফিসের যাবতীয় কর্ম (বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত) বাংলায় করার জন্য প্রথম সরকারি নির্দেশ জারি করা হয় ১২ মার্চ ১৯৭৫ সালে। নির্দেশটি জারি করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নির্দেশটি রাষ্ট্রপতির সচিবালয় গণভবন, ঢাকা, পত্র সংখ্যা ৩০/১২/৭৫- সাধারণ-৭২৯/৯ (৪শ’), তাং ১২ মার্চ, ১৯৭৫-এর মাধ্যমে জারি করা হয়েছিল।
একশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি লাভ : একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯, প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর ৩৩তম সাধারণ সম্মেলনে।
প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন : ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ১৮৬টি দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কারণে চাকরিচ্যুত মহিলা : নারায়ণগঞ্জের মর্গান বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়িত্রী মমতাজ বেগমকে ১৯৫২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একুশের আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অবস্থায়ই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম পরিবেশনা ও প্রথম আবৃত্তি : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই ঐতিহাসিক গানটি লিখেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। এটি প্রথমে গান হিসেবে লেখা হয়নি, লেখা হয়েছিল কবিতা হিসেবে। গে-ারিয়ার ধূপখোলা মাঠে যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম এই কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়। পরবর্তীতে কবিতাটি সুরারোপ করেন আবদুল লতিফ। ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে তৎকালীন ব্রিটানিয়া সিনেমা হলে আবদুল লতিফের সুরে সর্বপ্রথম গানটি গাওয়া হয়। বর্তমানে প্রচলিত একুশের প্রভাতফেরীর জনপ্রিয় এই সংগীতটির সুরারোপ করেন আলতাফ মাহমুদ।
প্রথম একুশে পদক প্রবর্তন : ১৯৭৬ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা শহিদ স্মরণে একুশে পদক প্রদানের রীতি চালু হয়। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসংগ্রামী, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ সালে প্রথম একুশে পদক প্রাপ্তরা হলেনÑ ১. কবি কাজী নজরুল ইসলাম- সাহিত্য, ২. ড. মুহম্মদ কুদরত-ই-খুদা- শিক্ষা, ৩. কবি জসীম উদ্দীন- সাহিত্য, ৪. বেগম সুফিয়া কামাল- সাহিত্য, ৫. কবি আবদুল কাদির- সাহিত্য, ৬. প্রফেসর মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন- শিক্ষা, ৭. মরহুম তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া)- সাংবাদিকতা (মরণোত্তর), ৮. আবদুল কালাম শামসুদ্দীন- সাংবাদিকতা এবং ৯. আবদুস সালাম-সাংবাদিকতা।
ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর : ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস রচনা, গবেষণা এবং একুশের স্মৃতি রক্ষার্থে বেসরকারি উদ্যোগে ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব ট্রাস্টের পরিচালনা ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ম্যাজিনিং ট্রাস্টি বেগম পেয়ারী মাহবুব। সদস্যরা হলেনÑ ডা. কাজী মাহমুদুল হাসান, মহুয়া মাহবুব খান, কেয়া মাহবুব ও কাজী মামুনুল হাসান এবং নির্বাহী পরিচালক এমআর মাহবুব।
ভাষাসৈনিকের নামে প্রথম সড়ক উদ্বোধন : ১০ ডিসেম্বর, ২০০৬ এ দিন ভাষাসৈনিকদের নামে প্রথম সড়ক উদ্বোধন করা হয়। ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক কাজী গোলাম মাহবুবের নামে ধানমন্ডির ১০নং সড়কটির নামকরণের মধ্য দিয়ে এ মহতী কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। ভাষা আন্দোলন মিউজিয়ামের প্রস্তাব ও আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সড়ক উদ্বোধনের কার্যক্রম শুরু হয়। সড়কটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, ভাষাসৈনিক গাজীউল হক, ভাষাসৈনিক মির্জা মাজহারুল ইসলামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে ১৮ জন ভাষাসৈনিকের নামে সড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে।
১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দল : ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক আমতলার ছাত্রসভা শেষে ১০ জন করে এক একটি দলে বিভক্ত হয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম দলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র আলী আজমল এবং তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাবিবুর রহমান শেলী।
১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম ছাত্রীদল : ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী চতুর্থ দলটি ছিল ছাত্রীদের। এটি ছিল প্রথম ছাত্রীদল। এই দলের নেতৃত্ব দেন শাফিয়া খাতুন। ছাত্রীদের প্রথম দলে আরো ছিলেন রওশন আরা বাচ্চু, সুফিয়া ইব্রাহিম, হালিমা খাতুন, শামসুনাহার, শরিফা খাতুন, জুলেখা হক, সারা তৈফুর প্রমুখ।
লেখক : গবেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন