মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহান স্বাধীনতা দিবস

সন্দেহ

চেমন আরা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:১৯ পিএম

মেয়েটিকে বাসার সবাই বানু বলেই ডাকে। বয়স বিশ-বাইশ। গায়ে-গতরে মানানসই। চাল-চলনে বেশ শোভন। আজকাল এই বয়সী মেয়েদের চুল বাঁধা, চলা-ফেরার ধরনধারণ বদলে গেছে। টিভি নায়িকাদের ও বিজ্ঞাপনের মেয়েদের দেখে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের পোশাক-আশাক, চলা-ফেরা একদম বদলে গেছে। আমাদের মতো সেকেলে যারা, তাদের চোখে লাগে।

যাকগে, বলছিলাম বানুর কথা, প্রথমদিকে মেয়েটি খুবই অনুগত ছিল, কাজে-কামে চটপট এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সব ধরনের কাজে তার উপর আস্থা রাখা যায়। বাগান করা, কাপড় ইস্ত্রি করা, মুখরোচক নাশতা তৈরি করা, কোন স্পেশাল রান্না করা- সবই সে পারে। বাড়ি তার ময়মনসিংহে, ছয় বোন-এক ভাইয়ের সংসার, বাবা কামলা খাটে মানুষের বাড়িতে। ভাই-বোনের মধ্যে সেই বড়।

অভাব এবং মাস্তানদের ভয়ে তার বাবা তাকে শহরে পাঠিয়েছে। তার ফুফু অভিভাবক তার। ফুফু সাথে নিয়ে এসেছে একটা ভালো বাসা দেখে কাজ দেবার কথা বলে। মেয়েটি কাজেরও। বাসায় সবাই তাকে পছন্দ করে। ঈদের পর কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল বানু। আসার পর থেকে তার চেহারা-টেহারা মলিন, আগের সেই শ্রীযুক্ত ভাবটা নেই, শরীরটাও কেমন যেন শুকিয়ে গেছে। তবুও কাজ করে যাচ্ছিল আপ্রাণ চেষ্টায়। তার চলাফেরার উদাসীনতা, চেহারার বিষন্নতা বাড়ির সবার চোখে ধরা পড়ে। কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে সে কিছুই বলে না। শুধু একটুখানি হেসে বলে, ‘না, আমার তো কিছুই হয়নি, আমি ভালোই আছি।’ অনেক বলাবলির পর তার থেকে কথা বের করা গেল। দেশের লোক তার বাবাকে খুব অপমান করেছে বড় মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে শহরে পাঠিয়ে কাজ করাচ্ছে বলে। তার বাবা একটা ছেলেও জোগাড় করেছে বিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু ছেলেটি চাকরি চায়, চাকরি না দিলে সে এই বিয়ে করবে না। বানুর ইচ্ছা এই ছেলেকে বিয়ে করা। কিন্তু কোথায় সে কাজ পাবে। আমাকে বলল, ‘দেন না খালাম্মা, একটা কাজ জোগাড় করে।’ আমি বললাম, ‘কাজ কি অত সহজে পাওয়া যায়? বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলেদের।’ তারপর থেকে কাজে-কামে শুরু হলো আরো অন্যমনস্কতা। আগের সেই নম্র-বিনয়ী ব্যবহার আর দেখা যায় না। কথায় কথায় উচ্চৈঃস্বরে সে গলাবাজি করে। ঘরের কাজ, রান্না ঘরের কাজ একাই চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কাজের মধ্যে আগের সেই নেই। কোন ব্যাপারে দোষ ধরলে সে রাগে ফুলতে থাকে। বলে, ‘পছন্দ না হলে বিদায় করে দেন। আপনাদের খুশি করার জন্য অনেক চেষ্টা করলাম, এখন আর পারি না।’

একদিন সকাল বেলা বারান্দায় বসে খুব আরাম করে পত্রিকা পড়ছি, বানু যে কখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করিনি। তার কণ্ঠস্বরে সচকিত হলাম। সে গম্ভীর গলায় বলল, ‘খালাম্মা, আপনারা লোক দেখেন। আমি চলে যাব, কাজ করব না।’ বাড়ির সবাই তাকে অনেক বোঝালো। দেশে আজকাল বড় মেয়েদের মা-বাবার অনেক কষ্ট, অনেক দুশ্চিন্তা, অনেক দুঃখ ভোগ করতে হচ্ছে, সেসব তাকে বলা হলো। না, কিছুতেই কিছু হল না, সে যাবেই। উপায়ান্তর না দেখে তার ফুফুকে ডেকে বলা হলো সবকিছু। ফুফু তাকে বোঝাল বেশ খানিকক্ষণ। রাগও করল চলে যেতে চাচ্ছে বলে। শেষ পর্যন্ত সে বিদায় হয়ে চলে গেল। গরিবের মেয়ে, রাহুগ্রস্ত সমাজ। সে সমাজে মানুষের বিবেকবোধ পশুর চেয়েও নিম্নস্তরে, এমন পরিবেশে কি হবে মেয়েটার! ওর ভবিষ্যৎ, ওর সুখময় সংসার, কোনটাই যেন আমার চোখে উজ্জ্বল হয়ে ভাসলো না। প্রায় মাসখানেক পর হঠাৎ দেখি বানু হাজির, সিল্কের সুন্দর একটা শাড়ি পরনে। এখানে থাকতে চেহারার যে লাবণ্য সে হারিয়ে ফেলেছিল সে লাবণ্য আবার ফিরে এসেছে। বেশ খুশি খুশি ভাব। ঘরের সবাই বানুকে দেখে আনন্দে উচ্ছল হয়ে ওঠে। বানুর সাথে কথা বলে জানা গেল, এবার বাড়িতে গেলে ওর বাবা ওকে বিয়ে দিয়েছে। তবে আগের ছেলের সাথে নয়। অন্য এক ছেলের সাথে। ছেলেটি বাবা-মার একমাত্র সন্তান। শহরে আসতে মানা করেছিল শ্বশুর। শ্বশুরবাড়ি সচ্ছল গৃহস্থ পরিবার। তবু সে আমাদের কথা মনে করে চলে এসেছে। তার ইচ্ছা যদি স্বামীসহ আমরা রাখি সে আবার কাজ করবে। বানুর কথা শুনে নতুন করে ভাবনায় পড়লাম। বাড়ির কর্তা করিম সাহেব। বেশ কিছু দিন যাবৎ অসুস্থ। তার সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য একটা ছেলের অভাব অনুভব করছিলাম। একটা ভালো বিশ্বাসী ছেলের খোঁজও চলছিল। খবরের কাগজে নানানজনের কাছে বাড়ির চাকরবাকরদের নানা ধরনের ভীতিকর খবর শুনে উঠতি বয়সের ছেলে রাখার সাহস পাচ্ছিলাম না। স্বামী-স্ত্রী দু’জন থাকলে এই ধরনের ভয়টা একটু কম বলে মনে হলো আমার। বানুর প্রস্তাবটা করিম সাহেবকে জানালাম। তিনি এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন। আমি বানুকে বললাম, ‘তোরা দু’জন আমার বাসায় থাকবি, তোর খালুর দেখা-শোনা করবি।’ বানু কিছুক্ষণ কি যেন ভাবল। পরে আমাকে বলল, ‘দু’জনকে কত বেতন দিবেন।’ বললাম, ‘দু’জন যখন একসাথে থাকবি, ‹একটু বিবেচনা তোকে করতে হবে। আমাদের পুরনো মেয়ে তুই, সব কিছুই তো জানিস। তোদের তেল-সাবান, কাপড়-চোপড়, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুর খরচই তো আমাদের। মাসে যা পাবি সব তো জমবে। মনে কর তোদের দু’জনকে আমি এ মাসে এক হাজার টাকা দিব। থাকবি?’ বানু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কি যেন ভাবল। তারপর কাল আসব› বলে চলে গেল।

বানু কথা রেখেছে। পরের দিন সত্যি সত্যি সে তার স্বামীকে নিয়ে হাজির। ছেলেটি গা-গতরে মানানসই। বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য বেমানান নয়। এদেরকে পেয়ে বাড়ির সবাই খুশি। সমস্যা দেখা দিল থাকার জায়গা নিয়ে। এতদিন তো বানু সবার টিভি দেখা শেষ হলে রাতে বৈঠকখানায় বিছানা পেতে থাকত। সকাল হলে বিছানা গুটিয়ে বারান্দার এককোণে রেখে দিত। এখন তো আর ওভাবে রাখা যাবে না। চিন্তায় পড়লাম। শেষে ঠিক হলো বাড়ির পেছনে একটা ছোট্ট ঘর আছে। ওখানে ওরা থাকবে। দু’জনের জন্য একটা চৌকি, মশারি, বিছানা কিনে আনা হলো। ঘর থেকে একটা পুরনো ছোট্ট টেবিল দেয়া হলো, বানুর ছোটখাটো জিনিসপত্র রাখার জন্য।

দু’জনকে পেয়ে বাড়ির কাজকামের ব্যাপারে সবাই কিছুটা চিন্তামুক্ত। বানুর স্বামীর নাম আবুল। ঘরে চলাফেরার জন্য ছেলেটি যেমন মানানসই, কাজে-কামেও তৎপর। কোন কাজে ফাকি নেই তার। যেখানে যে কাজ দরকার, বলার আগেই সে করে ফেলে। ওদিকে বানু রান্না ঘরের কাজ করে নিখুঁতভাবে। ওখানেও কোন দেখাশোনা করতে হয় না। বহুদিন পর নিজেকে ভীষণ হালকা মনে হয় আমার। বাড়িতে কত রকমের কাজ যে থাকে! ঠিকমতো লোক না পেলে কি যে কষ্ট! ভুক্তভোগী ছাড়া এসব কেউ বোঝে না। কয়েক মাসের মধ্যে বানু যেমন সুন্দর হয়ে গেল, বাড়ির চেহারাও তেমন ঝকমক করতে থাকে। বাড়ির পর্দা, জানালার নেট, গ্রিল, কাচ থেকে শুরু করে, ছাদ, উঠান সবকিছু তারা দুজনে মিলেমিশে পরিষ্কার করে। অন্য কাজ তো আছেই।

একদিন বিকেল বেলা বানু বলে, ‘অনেক দিন তো ছাদে যাননি, চলেন না, ছাদে আপনাকে নিয়ে যাই।’ বানুর সঙ্গে ছাদে গিয়ে দেখি এলাহী কারবার! গোটা ছাদ জুড়ে লাউগাছের আগা লকলক করছে। দেখলেই লোভ হয়, কিছু ছিড়ে নিই। মরিচ গাছে এসেছে অজস্র ফুল। ছাদে একটা কবুতরের বাসা আছে, অনেক দিন ধরে অযত্নে পড়া, কবুতরও আছে কয়েকটা, এতদিন কেউ দেখার ছিল না। দেখলাম, কবুতরের খোপটাও বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কবুতর কয়টা আমাকে দেখে খুশিতে বাকবাকুম আনন্দ ধ্বনি করে তাদের আনন্দ জানাচ্ছে। ভেতরে দুটো কবুতর আলাদা আলাদা খোপে ডিমে তা দিচ্ছে। এই সব দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেল। আমার সারা জীবনের অভ্যাস বাগান করা, হাঁস-মুরগি, কবুতর পালা। এখন মানুষজনের অভাবে, শারীরিক দুর্বলতার কারণে আস্তে আস্তে ভাটা পড়ে আসছে। এদের মধ্যে এই সবের শখ আছে। দেখে খুবই ভালোলাগে আমার। বাড়ির সবার কাছে বানুর চেয়ে বানুর স্বামীর কদর বেড়ে গেছে। এতদিন মানুষের অভাবে করিম সাহেব কোথাও যেতে সাহস পাননি। এবার তার শখ হলো আবুলকে নিয়ে মেয়ের চাকরিস্থলে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার। আমাকে বললেন, ‘আমাকে নিয়ে এখন তোমাদের আর কোন চিন্তা না করলেও চলবে। আবুলকে নিয়ে কক্সবাজার যাব। সাগরের মুক্ত বাতাস, খোলা বাতাস গায়ে লাগাব। আবুলকে নিয়ে তিনি সত্যি সত্যিই কক্সবাজার গেলেন।’

ওখানে থেকে ফিরে করিম সাহেব আবুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আমাকে বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের বলবে আবুল ছেলেটির সঙ্গে যেন সবাই ভালো ব্যবহার করে। এই বয়সের ছেলেরা অভিমানী হয়। কোন কারণে অসন্তুষ্ট হয়ে চলে যদি যায় আমাদের বুড়োবুড়ির ভোগান্তির একশেষ হবে। তা ছাড়া এই বেতনে এমন ছেলে আর পাবে না। ভালো ছেলে পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার।’

দেখতে দেখতে রোযা এসে গেল। অনেক দিন ধরে এরাদা ছিল হজ্জ করার। বড় ছেলে জেদ্দা থেকে চিঠি লিখল, আম্মা, ভিজিট ভিসায় চলে আসেন। আপনাকে নিয়ে আমরা এবার হজ্জ করব। তাই ঠিক করেছি রমযানের পরপরই জেদ্দা চলে যাব। ছেলের কাছে থেকে মহান হজ্জব্রতটুকু পালন করব। বাসা নিয়ে চিন্তা নেই, এখানে বাসায় বানু। আর আবুল থাকবে। করিম সাহেবের দেখাশোনা করবে। করিম সাহেবও এ ব্যাপারে অমত করলেন না। তার বিশ্বাস আবুল আর বানু থাকলে তার অযত্ন হবে না। তা ছাড়া ছেলে, ছেলের বউ এরা তো আছেই। আবুল আর বানু এই বাসায় এসেছে প্রায় ছয় মাস। বাড়ি যায়নি একবারও। ওরা বায়না ধরেছে বাড়ি যাওয়ার জন্য। বানু আমাকে বলে, ‘খালাম্মা, আমাদের সাত দিনের ছুটি দেন, আপনি হজ্জে যাওয়ার আগে। আমরা একটু বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। বানুর ছুটির কথায় মনটা এতটা খারাপ হলেও ওর কথাটা ফেলতে পারলাম না। সুতরাং তাদের ছুটি মঞ্জুর করতে হলো। খুশিতে বানু আর আবুল তাদের জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। দু’জনের বেতন নিয়ে বাজার করে এসেছে। বাড়ির সবার জন্য জিনিসপত্র কিনেছে।

এর মধ্যে ঘটনা ঘটে গেল একটা। ছোট ছেলে হাসান একদিন অফিস থেকে ফিরে ভীষণ উৎকণ্ঠিত গলায় বলে, ‘আম্মা, আমার ক্যামেরাটা পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সবার কাছে একটু খুঁজে দেখেন তো।’ সবার ব্যাগ, বই রাখার তাক খুঁজে দেখা হলো। কিন্তু কারও কাছে পাওয়া গেল না। যে সমস্ত জায়গায় রাখার সম্ভাবনা সেসব জায়গা তন্ন তন্ন করে খোজা হলো। না, কোথাও নেই। ক্যামেরার ব্যাপারটা সবার মনের উপর সন্দেহের কালো বাষ্প ছড়িয়ে দিল।

ক্যামেরা হারিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর থেকে বানু আর আবুল যেন কেমন মনছাড়া হয়ে পড়েছে। আগের মতো সেই হাসি-খুশি ভাবটা নেই। দু’জনেই ভীষণ গম্ভীর। তাদের কেউ সরাসরি জিজ্ঞাসা না করলেও তারা বুঝতে পেরেছে, ক্যামেরার ব্যাপারে তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে। বানু স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আবুল একেবারে বেপরওয়া হয়ে গেছে। এতদিন যে পোশাকি আদব-কায়দা তার মধ্যে দেখা গেছে, এখন সব সরে গেছে। সে বলে, আমাকে না বললেও আমি বুঝতে পেরেছি, এই বাড়ির সবাই সন্দেহ করেছে আমাকে। আমি আর এক মুহূর্তও থাকব না এ বাড়িতে। বানুকে বলে, ‘তুই থাকতে চাস থাক, আমি এখনই চলে যাব। বেতন দু’জনে আগেই নিয়েছিল। এখন সত্যি সত্যিই যাবার জন্য তার যাবতীয় জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করে। তার চেহারা ছবি একবারে বদলে গেছে, দেখলে ভয় করে। বানু বলে, ‘খালাম্মা ও চলে গেলে আমি কি থাকতে পারবো? হাসান ভাই দুদিন ধরে আমার সাথে কথা বলে না। আমি ভাত বেড়ে দিলে চুপচাপ খেয়ে চলে যান। আগে কত রকম রসিকতা করতেন ভাতের টেবিলে বসে। আমি সব বুঝি, বড় আশা করে এসেছিলাম আপনাদের কাছে। আমার আশা ভেঙে গেল। খালাম্মা, আমিও আজ চলে যাব। আপনাদের খালি ঘরে ফেলে যেতে আমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমার কোন উপায় নেই। এই বাড়িতে আমাদের বেশি আদর যত্ন করত হাসান ভাই। সেই হাসান ভাইয়ের অবিশ্বাসের পাত্র হয়ে এখানে থাকার কথা ভাবাই যায় না।’

আবুল আর বানুকে থাকার জন্য কেউ অনুরোধ করল না। এমনকি করিম সাহেবও। বিকেলের দিকে ওরা চলে গেল। সারা বাড়িটা যেন ঘটনার আকস্মিকতায় স্থবির হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন