টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিথ এক ভন্ডপীরের কথা মত মনিরুল ইসলাম নামের (২৫) এক এতিম যুবককে রুটির সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে তার গায়ে ১০১ কলস পানি দেয়া হয়েছে। ওই যুবককে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই যুবকের বাবার নাম মৃত কবির হোসেন । বাউফল পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাড়ি।
ওই যুবকের স্ত্রী খালেদা বেগম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একই এলাকার আমির হোসেন খানের বাসা থেকে ৩লাখ ৬০ হাজার টাকা চুরি হয়। আমির হোসেন খান ফরিদপুরের এক কতিথ পীরের কাছ থেকে রুটি পড়া এনে সন্দেহবসত তার স্বামী মনিরুল ইসলামকে খাওয়ান। এর কিছু সময় পর তার স্বামী অসুস্থ্য হয়ে পরলে আমির হোসেন খান ওই কতিথ পীরের মোবাইল নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। কতিথ পীরের নিদের্শ অনুযায়ি তার স্বামীকে বুধবার সকালে পুকুর পারে নিয়ে তার গায়ে ১০১ কলশ পানি দেয়া হয়। এ অবস্থায় তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে প্রথমে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহাকে দেখানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘মনিরুল ইসলামকে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই অবস্থায় তার শরীরে একাধিকবার পানি দেয়ায় তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পরেন। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার স্বজনদের পরামর্শ দেয়া হয়।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটা) মরিুল ইসলাম অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমির আলী খানের সাথে জমি নিয়ে মনিরুল ইসলামদের সাথে দীর্ঘ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ জের ধরে মনিরকে সায়েস্তা করতে টাকা চুরির নাটক সাজিয়ে খাবারের সাথে পয়েজন মিলিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্ট করা হয়েছে।’ মনিরের পরিবারের স্ত্রী ও নাবলক দুইটি সন্তান ছাড়া আর কেউ নেই।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ভিকটিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন