অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা, ঢাকায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস চেয়ারম্যান হাসনিন মুক্তাদির। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির ২০১৬ সালে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ইনসেপটার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি ২০১৭ সালের লক্ষ্য সম্বন্ধেও সুনির্দিষ্ট আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গবেষণা, মাননিয়ন্ত্রণ ও সৃষ্টিশীল ওষুধ বাজারজাত করার মাধ্যমে বিশ্ববাজারে অবস্থান তৈরি করাই ইনসেপটার অন্যতম উদ্দেশ্য। রফতানি বাণিজ্যে স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে রফতানিতে ইনসেপটা সিলভার ট্রফি অর্জন করে। তিনি জানান, ২০১৬ সালে ইনসেপটা সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন, ডায়পার ও হারবাল পণ্য রফতানি শুরু করে। এ ছাড়া তিনি সবাইকে অবহিত করেন, অদূর ভবিষ্যতে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের ওষুধ সরবরাহে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখার জন্য ইনসেপটা কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, খুব শিগগিরই ইনসেপটা বিশ্বমানের এনিমেল ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে যাচ্ছে। হাসনিন মুক্তাদির বলেন, ইনসেপটা সর্বদাই বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনে বিশ্বের সর্বাধুনিক ওষুধ উচ্চমান বজায় রাখার পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে ইনসেপটা বেশ কিছু নতুন ওষুধ নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে অনেকগুলোই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল উন্নত প্রযুক্তির মনোক্লোনাল এন্টিবডি এবং টিনিব গ্রæপের ওষুধ। তিনি আরো বলেন, ইনসেপটা তার নিজস্ব বাল্ক থেকেই কলেরা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, যা একটি বৈপ্লবিক ঘটনা। ভ্যাকসিনটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল স¤পূর্ণ হয়েছে এবং ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে এটি বাজারজাত করা হবে।
বর্তমানে ইনসেপটা ৫৯টি দেশে মানসম্মত ওষুধ রফতানি করছে এবং আরো ৩০টি দেশে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালের সেরা অর্জনকারীদেরকে তাদের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি সান্ধ্যভোজ ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন