বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

ঢাবি’র সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষাসফর

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমাদের দেশে শীত আসলে পিকনিক বা শিক্ষাসফরের ধুম পড়ে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এরকম একটি অনুষ্ঠানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে তো কোন কথাই নাই। একসাথে বেড়াতে যাওয়ার মজাই যেন আলাদা। আয়োজকদের মাথায় কাজ করে শিক্ষাসফর বা পিকনিকের স্থান নির্ধারন, খাবারের মেন্যু, ইভেন্ট, ব্যবস্থাপনা কৌশল, খরচপাতি প্রভৃতি বিষয় । পুরো অনুষ্ঠানকে কিভাবে সফল করা যায় তার পরিকল্পনা নিয়ে তারা থাকেন ব্যস্ত। শিক্ষাসফরকে প্রাণবন্ত করার জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি থাকে। কাজের দায়িত্বও থাকে ভাগ করা। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর্ব তো থাকতেই হয়।
গত বুধবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক শিক্ষাসফর পদ্মার পাড়ে অবস্থিত মাওয়া রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত শিক্ষাসফরে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে সকাল ৯টায় গাড়ী ছেড়ে নাস্তা ও আনন্দদায়ক নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে গাড়ী পৌছে যায় গন্তব্যে। গাড়ী থেকে নামার পর শিক্ষাসফরের আহবায়ক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম উপস্থিত সকলকে শীতের পিঠা ও চা পানের নিমন্ত্রণ জানান। মাঠে শুরু হয়ে যায় ফ্রেন্ডলি ক্রিকেট ম্যাচ। ধারাবাহিকভাবে মজার মজার খেলা চলতে থাকে। চেয়ার সিটিং, পিলু পাসিং, ঝুঁড়িতে বল নিক্ষেপ, হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রভৃতি খেলা চলতে থাকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ডাক আসে দুপুরের খাবারের। প্রথমে ছাত্রীরা এবং পরে ছাত্ররা টিকেট জমা দিয়ে খাবার সংগ্রহ করে সুশৃঙ্খলভাবে। এই ফাঁকে কেউবা ঘুরে আসে পদ্মার পাড় থেকে। কেউবা প্রিয় শিক্ষকদের সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটায়।
বিকালে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়। আবদুল্লাহ ইকবাল ও নাজমুল করিমের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এক এক করে গান, কবিতা, অভিনয় ও নৃত্য পরিবেশন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুরু হয় পুরস্কার বিতরণের পালা। শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেয়ার পর উপস্থিত শিক্ষকদেরকে শুভেচ্ছা পুরস্কার তুলে দেন বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস প্রতিনিধিরা। তারপর শুরু হয় র‌্যাফেল ড্র, যেখানে প্রায় ২০টি পুরস্কার ছিল। শেষে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম। ডিজে পার্টি ও গাড়ীতে নানা রকম সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় শিক্ষাসফর, যে আনন্দময় স্মৃতির কথা অনেকদিন মনে রাখার মত।
ষ মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন