ভারতের এক অজানা গ্রামে একজন বিবাহিত স্কুল শিক্ষক, তার এক ছাত্রী আর এক ছাত্রের মধ্যে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। শিক্ষক শ্যাম (নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি) তার ১৪ বছর বয়সী ছাত্রী সন্ধ্যার (শ্বেতা ত্রিপাঠী) প্রতি অনুরক্ত, আর সন্ধ্যাকে ভালোবাসে তার সহপাঠী কমল (ইরফান খান)। কমল আর মিন্টু (মোহাম্মাদ সামাদ)। মিন্টু এই দুই বন্ধুর মধ্যে অপেক্ষাকৃত ডানপিটে। মিন্টু সন্ধ্যার সঙ্গে প্রেম করার ব্যাপারে কমলকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং বলার অপেক্ষা রাখে না তার মধ্যে দুষ্টুমিই থাকে বেশি। দুই বন্ধুরই সন্দেহ শ্যাম আর সন্ধ্যার মধ্যে কিছু একটা চলছে। আর তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা দুজনকে প্রায় সর্বক্ষণ অনুসরণ করে। সন্ধ্যা কিন্তু এ বিষয়টি জানে না। মা তাকে ফেলে চলে গেছে আর তার বাবাও জগৎ সংসার সম্পর্কে উদাসীন। এক কথায় নিঃসঙ্গ আর অবহেলায় লালিত সন্ধ্যা শ্যামের মাঝে এক ধরনের আশ্রয় খোঁজে। অন্যদিকে শ্যামের উদ্দেশ্য সৎ নয়। তার সহিংস আচরণ সন্ধ্যার চোখে পড়ে না তেমন করে। তার অসহায়ত্ব বিবেচনাকে ঘোলা করে দেয়। শ্যাম নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তার স্ত্রী এবং তার ছাত্রীটিকে ব্যবহার করতে চায়। সে মনে করে এতে তার কোনও দোষ নেই। কারণ সন্ধ্যা তো উপযাচক হয়েই তার ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার গন্তব্য কোথায়? শ্যামের সঙ্গে তার স্ত্রী সুনীতারই (ত্রিমালা অধিকারী) সম্পর্কই বা শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে? আর কমলের প্রেম কি শেষ পর্যন্ত বিফলেই যাবে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন