শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির তথ্য জানতে বঙ্গভবনের আশ্রয় নেয়ার দরকার নেই- ওবায়দুল কাদের

‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, বিএনপির তথ্য জানার জন্য বঙ্গভবনের আশ্রয় নেয়ার দরকার  নেই। বিএনপির  গোপন কথা বলার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গভবনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে বলে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেছেন। আবার তিনি বললেন, কে এম হাসানের নাম আমরা পাঠাইনি। মানে হলো, ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির সদস্য করতে বিএনপি প্রেসিডেন্টের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেÑ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। তার জবাবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুখ খোলেন ওবায়দুল কাদের
পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের স্মরণ সভায় ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকের মামলা আছে তো। জেল-জুলুমের ভয়ে গোয়েন্দাদের কাছে ঘরের কথা বলে। এই সূত্র ধরেই  তো অনেকেই জানার কথা। বিএনপির  গোপন কথা জানতে কি আমাদের বঙ্গভবনের আশ্রয় নিতে হবে। বিএনপির গোপন কথা বলার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট। যাদের নিয়ে সংলাপে গেলেন, তাদের সবাইকে মির্জা ফখরুল সাহেব বিশ্বাস করেন?
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য স্ববিরোধী দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি একদিকে বলছেন  গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে। আরেকদিকে বলছেন নাম পাঠাননি। এটা আপনার স্ববিরোধী অবস্থান। তিনি (ফখরুল) যখন বলছেন নাম পাঠাননি, তাহলে গোপনীয়তা ভঙ্গের বিষয়টি কেন আসল? আসলে তিনি (ফখরুল) কথার ফাঁদে আটকে গেছেন। আবার আমাকে বলেন বক্তব্য প্রত্যাহার করতে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে বলেন, আমি শুধু বলতে  চেয়েছি, আমাদের কোনো চয়েস নাই। কিন্তু ইতিহাস বলে সাংবিধানিক পদে সব সময়ই বিএনপির দলের লোক প্রয়োজন হয়। তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ তো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। আর কে এম হাসান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানানোর জন্য বিচারপতিদের বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। এত পেয়ারের লোক বেঁচে থাকতে তাদের (বিএনপি) চয়েসে থাকবে না, তা কেমন করে হয়। প্রেসিডেন্টের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটিতে যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে। এটা সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নাজমা ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৫৬ এএম says : 0
আশা করি প্রেসিডেন্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন