শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সার্চ কমিটির অপেক্ষায়

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : সবার দৃষ্টি এখন বঙ্গভবনের দিকে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটির নাম সেখানে ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট। বঙ্গভবনে সংলাপে ৩১ রাজনৈতিক দলের অধিকাংশই নতুন আইন করে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিলেও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট আইন করতে পারছেন না। সময়ের স্বল্পতার কারণে তিনি আইন না করেই আপাতত সার্চ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। সার্চ কমিটির কারা কারা সদস্য হতে পারেন তা মোটামুটি চূড়ান্ত করলেও তা এখনো জানা যায়নি। তবে কমিটি গঠনের আগেই বড় দুই দলের মধ্যে শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি। এ বিতর্ক যেন অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতোই। আওয়ামী লীগের দাবি বিএনপি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির নাম দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগ কমিটি ঘোষণার আগেই প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। দুই দলের নেতাদের মতো তাদের অনুগত বুদ্ধিজীবী, সুশীলরা নিত্যরাতে টিভির টকশোতে এ নিয়ে বিতর্ক করছেন। তবে দেশের সাধারণ মানুষ চায় মর্যাদাপূর্ণ সার্চ কমিটি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন কমিশন। সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের আয়োজনে নতুন ইসি ভূমিকা রাখবে সে প্রত্যাশা সবার। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিত্বরা মনে করেন দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি সময়ের দাবি। প্রেসিডেন্ট যে সার্চ কমিটি গঠন করবেন তারা মানুষের সে প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে সে প্রত্যাশায় প্রহর গুনছে আমজতনা।
দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হচ্ছেন? নির্বাচন কমিশনারই বা কারা হচ্ছেন। এবারের ইসি গঠনে যে আইন হচ্ছে না তা অনেকটাই নিশ্চিত। চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সেক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর মধ্যেই ইসি গঠন করতে হবে। কারণ বর্তমান ইসি মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে মাত্র দুই সপ্তাহ। এর মধ্যেই সার্চ কমিটি নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম খুঁজে বের করে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবেন। প্রেসিডেন্ট সেই সুপারিশ থেকে বেছে নিয়ে ইসি গঠন করবেন। এবারও মরহুম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের দেখানো সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠন করা হবে নতুন নির্বাচন কমিশন
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশসমূহ একত্রিত করা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবার কথা ছিল। আর এ সপ্তাহেই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে কারণ হাতে সময় কম। বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানান, এবারের ইসিতে নারী সদস্য রাখার বিষয়ে মত দিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দল। নতুন ইসিতে তার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে।
সূত্র জানায়, এবার সার্চ কমিটি হবে পাঁচ সদস্যের। এর মধ্যে আগের সার্চ কমিটি থেকে একজন থাকতে পারে। সাবেক এক আইন সচিবের নামও আলোচনায় রয়েছে। আজ-কালের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত আকারে ঘোষণা করা হবে।
২০১২ সালে গঠিত সার্চ কমিটি ছিল চার সদস্যের। সেই কমিটির সদস্য ছিলেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান।
দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবনে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে অনর্ধিারিত বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র মতে, নতুন ইসি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সার্চ কমিটি হয়ে গেলেও তারা বেশি সময় পাবেন না। কারণ, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশন গঠন করতে হবে। তাই সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে সার্চ কমিটিকে সম্ভাব্য কমিশনারদের নাম বাছাই করে প্রেসিডেন্টের কাছে দিতে হবে। এর মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নতুন নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করবেন। তবে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান চার কমিশনারের মেয়াদ ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও একজনের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। একজন কমিশনার থাকলেও কমিশনের অস্তিত্ব থাকবে। এই বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট ইসি গঠনে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও সময় নিতে পারেন।
আইন না থাকায় নতুন ইসি গঠনের উদ্দেশে নিবন্ধিত ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ধারাবাহিক সংলাপ শেষে হয় ১৮ জানুয়ারি। মাসব্যাপী এ সংলাপে সংলাপে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠনসহ বিভিন্ন মতামত পেশ করে দলগুলো। বেশিরভাগ দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানালেও এবার তা হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Amit Sarker ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:৫৬ এএম says : 0
ata e akhon ses vorosa
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন